Skip to main content

সম্পর্ক - মন্থন

সম্পর্ক, সে তো মন্থন। জীবন মন্থন। শুধু কি অমৃতই উঠবে বলো? বিষও উঠবে। ধৈর্য ধরো। বিষকে ধারণ করে মহাদেব। মানে মহাকাল। কালের হাতে ধীরে ধীরে ছেড়ে দাও বিষ। নিজে ধারণ করতে যেও না। নিজে হজম করতে যেও না। শেষ হয়ে যাবে। সে বরং সময়ের হাতে থাক। বিন্দু বিন্দু করে দিয়ে দাও। অল্প অল্প করে নির্ভার হও।
...

আমি তৈরি, সেই কবে থেকে

পায়ের গিঁটগুলো শক্ত হয়ে গেছে। কালো। দইয়ের বাঁক নিয়ে স্টেশানে এসে দাঁড়ালো যখন আষাঢ়ের আকাশ জুড়ে প্রথম বর্ষার মেঘ। 
...

আকাশ হতে যাইনি

আকাশকে ছুঁতে চাইনি তো
আকাশের ছোঁয়া চেয়েছিলাম
...

গোলাপ

বাচ্চাটা বারবার গোলাপটার দিকে হাত বাড়াচ্ছে। যতবার হাত বাড়াচ্ছে ততবার অস্বস্তিতে পড়ছে অনোখ। ভাতিণ্ডা থেকে বিরাশি বছরের মাকে নিয়ে এসেছে শিরডি, সঙ্গে অবিবাহিতা বোন, কুসুম। তার মায়ের ভীষণ ইচ্ছা সাঁইবাবার মন্দিরে আসবে। অনোখের জন্মের আগে থেকেই নাকি মানত ছিল মায়ের। আসা হয়নি। গরীবের পক্ষে চৌকাঠ পেরোনো হিমালয় পেরোনোর সমান।

    গতকাল মাকে বোন নিয়ে এসেছিল মন্দিরে। অনোখের সময় হয়নি। সে আসলে একটা ব্যবসার কাজ নিয়ে এসেছে শিরডি। ভাতিণ্ডাতে তার ছোটোখাটো একটা ব্যবসা। আর সেই জন্যেই শিরডি আসা। মায়ের জেদ, সেও আসবে। তাই মা আর বোন সঙ্গে এলো। 
...

আমি বনাম বাজার

KK বনাম রূপঙ্কর থামতে চায় না, এদিকে আবার শুরু হল হার্ট অ্যাটাকের পাঁচালি। এমনিতেই বাঙালির ঘরে ঘরে ডাক্তার, সে এমবিবিএস পাস করুক চাই না করুক। স্বাস্থ্য ও ওষুধ নিয়ে নিজের কোনো বিধান নেই এমন বাঙালি দুর্লভ। তার উপর মেডিক্যাল ক্লাস এখন খবরের কাগজের পাতার পর পাতা জুড়ে শুরু হয়েছে। বিষয় --- হার্ট অ্যাটাকের সাতকাহন। কি করে বুঝবেন, আপনার কখন হার্ট অ্যাটাক হবে, কি কি করবেন, করবেন না ইত্যাদি। ওরে ভাই, UN থাকতেও যেমন একশো দিন ধরে যুদ্ধ চলে, তেমন হাজার একটা বিধিবিধান জানা থাকলেও ও হবেই। কতদিক সামলায় মানুষ! তাছাড়া স্বাস্থ্য নিয়ে অতি আদিখ্যেতা আর বাড়াবাড়ি করার সময় ক'জন মানুষের আছে?

    একবার আমার এক আত্মীয়ের ভীষণ শরীর খারাপ। তার বয়েস হয়েছিল। তো একজন পাড়ার ডাক্তারকে ডাকা হল, যিনি আদতে কম্পাউণ্ডার ছিলেন, কিন্তু তারপর চেম্বার করে বসেন এবং অনেকের অগতির দুর্গতি হন। তো তিনি স্টেথো, ব্যাগপত্তর নিয়ে তো এলেন। এসে আমার সেই আত্মীয়কে ভালো করে দেখেশুনে বললেন, ওনার মনে হচ্ছে আজ বা কাল বা পরশু'র মধ্যে একটা হার্ট অ্যাটাক হবে, আপনারা তৈরি থাকবেন।
...

সঙ্গগুণে 

কানাই গাইয়ে ফিরছে। বুকের কাছে দলা পাকানো অভিমান, কান্না। আজ সুর লেগেছে, সুর জাগেনি। না বেহাগে, না শিবরঞ্জনীতে। 

    রাত তো অনেক। গ্রামের ফাঁকা রাস্তা। মাথার উপরে বাঁকা একফালি চাঁদ। রাস্তার দু ধারে মাঠ। কেউ তার সঙ্গে ভালো করে কথা বলছে না। কানাই সাইকেল থেকে নামল। সাইকেলটা স্ট্যান্ড করে রাস্তার পাশে বসল। গলাটা অল্প অল্প ব্যথা করছে। তার বয়েস কত হল? সামনের অক্টোবরে বত্রিশে পড়বে। কিন্তু এখনও নিজের মন বসল না। গোটা জীবনটাই ছড়ানো। গুরু বলেন, কানাই জীবনে কিছু দুঃখ গ্রহণ করে নিতে হয়, কিছু দুঃখকে বরণ করে নিতে হয়। নইলে জীবন চাষবাসহীন ক্ষেতের মত পড়ে থাকে। সে অভিশাপ। 
...

কিছু প্রশ্নচিহ্ন 

kichu prasnachinha

কিছু প্রশ্নচিহ্ন 
একা একা দাঁড়িয়ে থাকে

বড্ড আত্মবিশ্বাসী 

কোনো উত্তরের অপেক্ষা না রেখেই 

কাঁঠাল

যা ভাবা হয়েছিল তাই। গাছে একটাও কাঁঠাল নেই। মানে শুধু ছাল পড়ে আছে। একটা বীজও নেই। এবার বীজগুলো এদিকে ওদিকে পড়ে থাকবে। মানে বীজ হজম তো তেনারা করতে পারবেন না, কিন্তু ছড়াবেন। 

শিল্পীর নান্দনিকতা

ছোটোবেলায় ঠাকুমার সঙ্গে ভাগবতপাঠ শুনতে যেতাম। তো সেখানে একটা গপ্পো আমার খুব মনে ধরেছিল। কৃষ্ণ নাকি কখনও কারো দোষবর্ণন করতেন না। 

Subscribe to