বোধন
শুনিলাম কোনো বিজ্ঞানী
স্থির সিদ্ধান্তে আসিয়াছেন
সর্ব সমক্ষে ঘোষিয়াছেন-
ঈশ্বর নাই
আম জনতা দলে দলে
তাহারি পদতলে আসিতেছে
বলিতেছে গদগদ ভাষে-
হেন সত্য উদঘাটিলে
তবে তুমি তাই!
তুমি গেছ
তুমি গেছ
তবু মনে হয় ফেরার জন্যই গেছ-
আমায় ছাডা থাকবে কি করে,
আমার ঘরে বাইরে উতলা মন।
আঘাত
সব আঘাত ভুলতেই তো চাই।
তবে কিছু আঘাত
ভুলতে চাই না,
এমনকি পরজন্মেও না।
কিছু সুরের আঘাত-
সে হোক না মোহরদি
কিম্বা মেহেদি হাসান
বিসমিল্লাহ্ কিম্বা রবিশঙ্কর
অথবা খোদার কণ্ঠস্বর- আমির খান
সেই আঘাতেই তো বেঁচে আছি
পারের কড়ি অলিন্দে লুকিয়ে।
ঋণ
স্বামী আমায় ভীষণ ভালোবাসতো
হ্যাঁ ভালোবাসতোই বলছি-
মারা গেছে?
বালাই ষাট! মরবে কেন?
আছে বেঁচে বর্ত্তে
শুধু নুন দিয়েছি তার ভালোবাসার মুখে।
কাঁপন
নীল আকাশকে পিছনে রেখে
নারকেল পাতার দল
কাঁপছে বাতাসে থরথরিয়ে।
একটা কাঠবেড়ালির লাফ
পাতার সাথে আকাশে ধরালো কাঁপন।
অন্বেষণ
জানলাম নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী ভেঙ্কি রামকৃষ্ণন রয়্যাল সোসাইটিরর কর্ণধার হয়েছেন। গর্বিত হলাম। অবশ্যই তা ভারতের সাথে নাড়ীর যোগ থাকার জন্য। কিন্তু পরক্ষণেই মনটা দমে গেল। আচ্ছা আমরা আমাদের দেশে থেকে পারি না কেন?
জঞ্জাল
কই শান্ত হলাম?
কই ক্ষমার আলো বুকে জ্বলল?
কই ভালোবাসার স্নিগ্ধতা
সকালের আলোর মত জড়িয়ে থাকল হৃদয়?
ওই তো, গভীর রাগ
বুকের মাটিতে পোঁতা - মরেনি তো!
ওই তো, লোভের লতাপাতার গায়ে
ঈর্ষার বিষফল ফুটে আছে থরে থরে!
ওই তো, প্রতিহিংসার ধিকি ধিকি আগুন
ফুঁসে চলেছে কালো অন্ধকারে!
কাঁদা
অসহ্য ব্যাথা গায়ে হাতে পায়ে। লোকটা হাঁটতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ল কাদায়। সারা গায়ে কাদা। শুধু কাদা? না পাঁক। কি বিশ্রী দুর্গন্ধ। অবশ্য দুর্গন্ধ তো বিশ্রী হবেই। লোকটা উঠতে গিয়েও উঠতে পারছে না। আরো কাদার মধ্যে দেবে যাচ্ছে। কাদার মধ্যে শামুকের ভাঙা খোলে ক্ষত বিক্ষত হচ্ছে গা হাত পা।
আঁচড়
আমার সারা বুক ক্ষত-বিক্ষত
তোমার চোখের আঁচড়ে
তবু আসি কেন জানো?
মরণ যে কাছ থেকে এত সুন্দর,
তোমায় না দেখলে জানতাম কি করে?
শান্তি আনন্দ প্রেম
শান্তি-
নিজেকে ভুললে
তোমায় ভুললে না।
আনন্দ-
তোমায় চাইলে
নিজেকে চাইলে না।
প্রেম-
তোমায় ঘিরে
নিজেকে ঘিরে না।