তুমি
আমার কল্পনা আসে না
তোমায় আমি 'তুমি' বলেই জানি
আমার তুলনা আসে না
তোমায় আমি 'আমার' বলেই মানি
আমার বুকের মধ্যে বোবা অনুভূতি
প্রাণকেন্দ্র তুমি
এতটা জানি
তোমায় হারালে সংসারে আমার
কিছু নেই আর হারাবার
তা প্রতিটা শ্বাসে মানি
বসন পরো মা
মা দূগ্গা, পরেরবার কুমোরটুলিতে আসার সময়, আগে থেকেই বক্ষবন্ধনীটা শ্বশুরবাড়ী থেকে নিয়ে নামিস মা। চিত্রগ্রাহকদের চিত্রের ঠেলায় তোকে যে রুপে দেখতে হচ্ছে... আর তো পারা যায় না মা। আদিরস, ভক্তিরসে মিশে ঘেঁটে একাকার দেখি গো চারদিক। বলি বসন পরাটুকু একটু ধৈর্য ধরলে না গো!
যাবার আগে
যাবার আগে
আলোটা নিভিয়ে
দরজাটা ভেজিয়ে যেও
যেন তুমি আসোনি কখনো
আমি মনকে ভুলিয়ে
পাপোশটা ঝেড়ে আসব
মুছে আসব চটির দাগ
এটা আমার রোজকার অভ্যেস
গণতন্ত্র
গণতন্ত্র আবার কি? গণতন্ত্র মানে হল, গণ নির্বাচিত রাজতন্ত্র। অভিধানে যাই লেখা থাক, এটাই আমরা বুঝি।
ভিক্ষা
সেদিন ভিক্ষা নিতে
হাতে লেগেছিল হাত
পাগল সেদিন থেকে
ভিক্ষা নিতে
মন না দেয় সাথ
খুড়োর কল
আজকাল 'যোগ্যতা' নিয়ে আলোচনা খুব একটা দেখি না। আপনি কি যোগ্য? এ প্রশ্ন আত্ম-সম্মানে লেগে যাচ্ছে সরাসরি।
'ইচ্ছা থাকলে মানুষ কি না পারে?' ... 'চেষ্টা করলেই সব হয়' .... 'ও করতে করতে শিখে যাবে' ..... 'জলে না নামলে কেউই সাঁতার শিখতে পারে না' ..... ইত্যাদি সব যুক্তির দোহাই-এ 'কারে দিলে রাজার পাঠ' হয়ে যাচ্ছে যে চারদিকে! যেমন কয়েকটি ঘটনাঃ
তৈলাক্ত কটাক্ষ
ইতিহাস সাক্ষী - একটি জাতির নিকট আরেকটি জাতির পরাজয়, একটি দেশের অপর দেশের নিকট বশ্যতা স্বীকার। কোনো একটি সংস্কৃতির অপর কোনো সংস্কৃতির নিকট নতি স্বীকার।
কিন্তু অধুনা প্রত্যহ সংবাদপত্র, বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমের দ্বারা যে পরাজয় স্বীকারের ইঙ্গিত মিলিতেছে, সে লজ্জা অবহ, অসহনীয়।
অভিসার
সমুদ্রস্নান সেরে সে তীরে বসেছিল। ভেজা কাপড় শুকিয়ে নিচ্ছিল ভাগাভাগি করে, কিছুটা রোদ, কিছুটা হাওয়া। তার চোখের মণিতে যে সাগরের ঢেউ আছাড় খাচ্ছিল, সে সাগরের সাথে তার বুকের সাগরের কোনো মিল নেই, আবার আছেও। তার মনের মধ্যের সমুদ্র বাইরের সমুদ্রের সাথে কথা বলছিল। ভিতরের সমুদ্র কথা করল শুরু।
-তোর এত ঢেউ? কে যোগায়?
-বাতাস, তোর জল এত স্থির কেন?
মুক্তির ভয়
তালাগুলো ভেঙে গেছে
চাবিগুলো গেছে রয়ে
নতুন তালা ফিরছি খুঁজে
বাজারে হন্যে হয়ে
হলই না হয় বাঁ হাত
আমায় দেবে বলে, সে এলো-
অনেকগুলো কাঁটা
এক পাত্র বিষ
আর এক দাবানল আগুন
নিয়ে