অরণ্য
নাবিক
বাসনাগুলোকে নাবিক করেছি। খালাসির কাজে ছিল ওরা। তাদের দিলাম নাবিকের ভার।
লুকোচুরি
খামখেয়ালী রোদ এল ছাদের উপর
এসে বললে, সময় আছে?
বললাম, কেন?
সে বলল,
দাঁড়াব একটু। বসতে বললে বসতেও পারি।
আমি খেলছিলাম ছায়ার সাথে একা, লুকোচুরি।
সে কার্ণিশের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে,
আমায় ইশারায় বলল -
না, ওকে যেতে বলো এক্ষুণি
শীতের কম্বল
যে আলোতে নিজের, অন্যের ভিতরটা দেখা যায় তা হল অনুকম্পা। অন্যের দিকে ফিরলে অন্যকে দেখায়, নিজের মধ্যে ফিরলে নিজেকে চেনায়। না হলে, নিজের অহংকারের জুলুমে অন্যকেও মারি, নিজেও মরি। নিজের ভার লাঘব করলে অন্যের চলার পথে পাথর হই না, আর নিজের বুকের ওপর পাথর হয়ে বসি না।
হ্যাঁ, আমিই
১
---
কোর্টে আজ রায় বেরোবার দিন। থিকথিক করছে ভিড়। আসামী একজন মহিলা। বিবাহিতা। বয়েস ৩৩।
অপরাধ - অসুস্থ স্বামীকে রেললাইনে ধাক্কা মেরে চলন্ত ট্রেনের সামনে ফেলে দেওয়া। দিনেরবেলা, সবার সামনে।
যে ক'দিন আদালতে মামলা চলছিল মেয়েটা একটা শব্দও উচ্চারণ করেনি। যতবার জানতে চাওয়া হয়েছে এর পিছনে কারণ কি? সে নির্বাক থেকেছে।
জাগরণ
একটা কয়েন পড়ল মাটিতে। আমার কানে শব্দ আসল। মনে চমক দিল, আমি ফিরে তাকালাম।
ধপ্পা
আমার সারাটাদিন
তোমার ভোরবেলায় আমি আছি?
আমার ভোর তোমার চোখের সাথে হয়
তোমার দুপুরবেলায় আমি আছি?
আমার দুপুর তোমার হাসির সুরে হয়
তোমার বিকালবেলায় আমি আছি?
আমার বিকাল তোমার ঘামের গন্ধে হয়
তোমার সন্ধ্যেবেলায় আমি আছি?
আমার সন্ধ্যে তোমার গলার স্বরে হয়
তোমার রাত্রিবেলায় আমি আছি?
আমার রাত তোমার ঠোঁটের বিছানায় হয়
আমার দিদা
সংসারে সুতার্কিক দেখেছি, ধূর্ত মানুষ দেখেছি। তারা বুদ্ধিমান অবশ্যই। তবে মনের পরিধি ছেড়ে গহন গভীরে প্রবেশ করে, আত্মচেতনাকে স্নিগ্ধ করে, সংসারকে শান্তিনিকেতন করে গড়ে তুলতে খুব কম মানুষকে দেখেছি।
খবর বাজার
খবর খবর খবর
ধর্ষিতা মেয়ের শরীরে এইচ আই ভি,
সে মেয়ে হাসপাতালে মাকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লে
খবর
সেই কান্নার আওয়াজে আচমকা কোনো টিকটিকি
হাসপাতালের দেওয়াল থেকে মেঝেতে পড়লে
ব্রেকিং নিউজ