নন্দিনী
কি অশান্ত হৃদয়কে বুকে করে বেড়িয়েছ এতদিন?
অবাধ্য জল ঘাটের কিনারায় মাথাকুটে মরে
পাড়ে উঠবে বলে
গঙ্গার পাড়ে দাঁড়িয়ে দেখেছি অজস্রবার
পা ভিজিয়েছি সেই অবাধ্য জলে
মাঝপথে
পৌঁছালাম কই?
বিশ্বাস
শিখা
প্রদীপের সলতে এগিয়েছি সারারাত
শিখাটাকে জ্বালিয়ে রাখব বলে
যেন প্রদীপের বুক না জ্বলে
শিখা এগোতে এগোতে
কখন আমার আঙুলে ধরেছে আগুন
আঙুল থেকে শিখা এসেছে সারা শরীরে
পুড়ুক পুড়ুক। আগুনের ভুল ভাঙিয়ো না।
তবু প্রদীপের বুকটা বাঁচুক
হে সত্য
সে কথা থাক, যে কথা শুধুই তর্কের ঝড় তোলে
নিজের তোলা ঝড়ের ধূলোয় নিজেই পথ ভোলে
সে আলো জ্বালো, যে আলো মৃত্যুর পারে জাগে
আজ সব পরাভব তোমার চরণে পুনর্জন্ম মাগে
দ্রোহাত্মা ও মহাত্মা
বোবা কথারা
বোবা মুখের বোবা কথারা
এখানে ওখানে হাঁটুগেড়ে বসে
মিথ্যাগুলোকে পথ ছেড়ে দেয়
সাজানো কথা বোঝে না সে
যদি
অপারক আমি
তবে
দুটো নিম্নাঙ্গের মিলনে
একটা শরীর তৈরী হলেও হতে পারে
প্রেম নয়
অন্তর্লীন
এত ব্যাখ্যা করছ কেন?
শুতে যাও। আমি জেগে আছি।
ভয় অন্তর্দৃষ্টির অন্তরে জাগা বিশ্বাসকে কাড়তে পারে না
তুমি সে বিশ্বাসে আছো।
মিথ্যার সাধ্য কি সে বেদীতলে দাঁড়ায়!
মিথ্যার কল্পনাও ভস্ম হয়ে যায় সে শুদ্ধাগ্নিতে
তোমায় আমি ব্যাখ্যায় পাইনি
পেয়েছি বিশ্বাসের অন্তরে জাগা অতন্দ্র আলোতে
তুমি এসো। আমি হাত পেতে আছি -
আর কিছু না, শুধু তোমার হাতেরই জন্য।