দেবতা মন্ত্র শুনতে শুনতে বললেন, ভোগের তরকারিতে নুন হয়নি।
পুরোহিত বলল, চুপ করুন। নিন্দা রটবে।
পুরোহিতের স্ত্রী প্রদীপের সলতে পাকাতে পাকাতে বলল, আমার ছেলেটাও খায়নি তাই। বলল, আলুনি।
দেবতা আরতির সময় বললেন, কাল আমাকে যে কাপড় আর আভরণে ঢেকেছিলিস, আমার দম বন্ধ লাগছিল।
পুরোহিত আরতির ঘন্টা আরো জোরে বাজাতে বাজাতে বলল,
উফ, আপনি থামুন, বাইরে অনেক অতিথি।
পুরোহিতের স্ত্রী আগামীকালের ভোগের খিচুড়ির চাল বাছতে বাছতে বলল, আমি কাল দু'বার গা ধুয়েছি, ওনাকে বললাম গা ধুয়ে শোও, উনি বললেন, তেমন নাকি গরম নেই, আমার নাকি বাতিক।
ভোগ হল। ভক্তের দল প্রসাদের লাইনে বসে। পুরোহিত তদারকি করছে।
দেবতা বললেন, ঝাড় লণ্ঠনে কি ধুলো রে.... ঝাড়িস না কেন... এদিক ওদিক ঝুল ওড়ে...
পুরোহিত মন্দিরের দরজা আটকে বাইরে এসে বলল, ভিতরে বেড়াল ঢুকে যায়.....
পুরোহিতের গিন্নী একটা বাচ্চা বেড়াল কোলে নিয়ে মন্দিরের বাইরে এলো, বলল,
উনি বললেন, মন্দিরের ভাঁড়ার ঘরে আরো চারটে বাচ্চা আছে.... বহুদিন বন্ধ ঘরটা.... বাচ্চাগুলোকে না উদ্ধার করলেই তো নয়...... ঘরটার যা অবস্থা.... তোমায় বলছি না.... ইঁদুরে..... ছুঁচোতে..
পুরোহিত চোখ পাকালো। ভক্তেরা ভুরু কুঁচকালো।
পুরোহিতের স্ত্রীর কোলে বেড়ালের বাচ্চাটা ডেকে উঠল, মিউ.....
পুরোহিতের স্ত্রী তার মাথায় হাত বুলিয়ে বলল, না না তোমার কোনো ভয় নেই বাবা..... আমি থাকতে কে গায়ে হাত দেয় দেখি......