Skip to main content

তাই হোক

আমি না ভালবাসলে যদি ভাল থাকো
তো থাকো
তবে এমন না হয় দেখো
নিজেকে ভালোবাসার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলেছ

আমি না চাইলে, যদি সুখে থাকো
তো থাকো
তবে এমন না হয় দেখো
নিজেকেই আর চাইতে ইচ্ছে করছে না

আমি না হয় দূরেই থাকলাম
তবে নিজের থেকে দূরত্ব না হয় দেখো

মরণ সাক্ষী

আমি তোমায় অনন্তকাল চাই
বুকের মধ্যে এক সমুদ্র কান্না
দু'হাত দিয়ে তোমায় বুকে চেপে
হারাবার ভয় তবু নিঃশেষ হয় না

দু'চোখ তোমার মুখের দিকে চেয়ে
সূর্য্য চন্দ্র বালি ঘড়িতে আটকে
কথাগুলো বোবা ব্যাকুল চাওয়ায়
ঠোঁটের কোণে থরথরিয়ে কাঁপছে

অনর্থক

বিশ্বাস না হয়
কানে আঙুল দাও
দুচোখ ঢাকো হাতে
পায়ে শিকল লাগাও

দেখো, তবু তোমার হৃদয় চলছে
তুমি বেঁচে আছো আজও, এখনও
            বিশ্বাস করো!

PK

PK দেখলাম। হতবুদ্ধি হলাম। একজন ভিনগ্রহবাসীর চোখে ভারতবর্ষের প্রচলিত ধারণাগুলিকে বোঝার চেষ্টা। ভেবেছিলাম সিনেমাটি গভীর তাৎপর্য ও চিন্তাপ্রসূত হবে। হল বিপরীত।

ভুলিও না

পথ বদলাতে পারো
গতি বদলাতে পারো
দিশা বদলিও না

রামের শ্যামের যুক্তি দিয়ে
নিজেকে ভুলিও না

সামনে যেতে পারো
পিছনে সরতে পারো
চলা থামিও না

ছন্দ ভেঙে নতুন ছন্দ খুঁজো
গান হারিয়ে না

ওদিকে

নরহরিবাবু প্রায় তিরিশ বছর হল ইছাপুর থেকে ডেলিপ্যাসেঞ্জারী করছেন।ইদানীং একটা অদ্ভুত ঘটনা ঘটছে। উনি ঠিক ঠাহর করে উঠতে পারছেন না, ঠিক কি হচ্ছে।
     উনি বাড়ি ফেরেন প্রায় রাত আটটার কাছাকাছি। স্টেশানে নেমেই কোনো একজন অপরিচিত মানুষের সাথে উনি কোনো পরিচিত মুখের আদল পান। শুধু তাই না, সেই পরিচিত মানুষের সাথে নরহরিবাবুর দেখা হবেই, সেদিন না হলে পরের দিন তো অবশ্যই।

তমোনাশ

শিষ্য দাঁড়ালেন গুরুর সামনে
অহংকারে পূর্ণ হৃদয় তার
গুরু নামালেন চোখ
শিষ্য হলেন গর্বিত
স্বয়ং গুরু ফেরান নিজ দৃষ্টিপাত!

একটা ঘটনা ও দুটো প্রশ্ন


---
মা হাসপাতালের বেডে শুয়ে, অর্ধ-চৈতন্য,
মহাপ্রস্থানের পথে, চিকিৎসা শাস্ত্রের বাইরে।
আমি বেডের ধারে গার্ড দেওয়া রেলিং-এ
কনুই রেখে, গালে হাত দিয়ে মায়ের দিকে
স্থির দৃষ্টিতে চেয়ে,
আগুন নেওয়ার আগে, দু'চোখ ভরে শুষে নিচ্ছি
মায়ের মুখ, হাত, পা।
হঠাৎ স্লিপ করে গেল কনুই,
মা অর্ধ-চেতনায় চমকে উঠলেন,
আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,

ভাঙা ঘুম

মা, যে দিন স্বপ্নে তুমি আসো
মনে হয় সে ঘুম হোক দীর্ঘজীবি
ভাঙা ঘুমকে জোড়া লাগাতে
আপ্রাণ করি চেষ্টা
বিছানায় নিজের সাথে করি যুদ্ধ-
যদি আরেকটু থাকতে পাই তোমার সাথে থাকতে।

হয় কই?
পাখির ডাক, হাল্কা রোদ, নানান কাজ-
আমার অলস বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে,
ক্লান্ত আমি ওদের বলি, উঠছি।

সেদিন

ছোটবেলায় পড়েছিলাম
বাচ্চাটা বলেছিল, "যেতে নাহি দিব"।

আজ ছোট্ট ভাগ্নে বলল, "যেতে তো হবেই"
এটা প্রজন্মের পার্থক্য নাকি বোধের অকাল বোধন?

সেটা সত্যিই দুর্দিন হবে
যেদিন একটা বাচ্চার বায়না হবে যুক্তিসম্মত।

Subscribe to