Skip to main content

দিশা


কি খোঁজার কথা ছিল?
সন্ধ্যাতারা না ধ্রুবতারা?
ও দুটো চোখের দিকে তাকিয়ে
           ভিতরে বাইরে ছন্নছাড়া
দিশা খুঁজতে এলাম
                হলাম দিশাহারা

চলা


না তো দুর্ভাগ্যকে অস্বীকার করতে পারো, না তো সৌভাগ্যের পথ চেয়ে সব কাজ ফেলে বসে থাকতে পারো। 

মাঝামাঝি একটা রফা তোমায় করতেই হবে। জুতো না মিললে খালি পায়েই হাঁটতে হবে। তবু হাঁটতেই হবে। জুতোর ওজর দেখিয়ে বসে থাকলে, জুতোর মানই বাড়ে শুধু অনর্থক, ক্ষতি যা হয় সে আমার। সে না-চলার ক্ষতি, রক্তাক্ত পায়ের তুলনায় অনেক বেশি। ক্ষত সারবে, কিন্তু, সময় আর ফিরবে না যে!

সোজা সাপটা


সত্যে মিথ্যায়
আলোতে আঁধারে
   জড়ানো চিরটাকাল
ছিল, আছে, থাকবেও

কিছু মানুষ চীৎকার করে ধূলো উড়াবে
বিভ্রান্ত করবে 
    তাদের আছে উদ্দেশ্যের দায়
এরাও আছে চিরটাকাল, থাকবেও

ব্যর্থ


বীজটাকে হাতে করেই বেড়ালো
না নিজে মিশল বীজে
না বীজকে মেশালো নিজেতে

না জন্মাল গাছ
না ফুটল ফুল
না ধরল ফল

শুকনো বীজের খোসা হাওয়ায় উড়ছে
সে খোসাগুলোর নাম দিয়ে দিয়ে
            রাখছে গুদোম ঘরে জমিয়ে

যেন খোসা থেকেই জন্মাবে গাছ

ফুলকি


ছেলের গোত্র কি?
মেয়ের?

এ বাবা!

এ গোত্র চলে না যে!

নমো শুদ্দুরের সাথে বামুন!
আরে মিত্তিররা কি গোত্রের হয়?
কি বললেন?
আর, পাল? কর্মকার? 
আরে শুনতে পাচ্ছি না যে....

বাঁক



---

দিয়া


তুমি চোরাবালি না ভুলভুলাইয়া
কি সুখ বলতে পারো?
     তোমার শিখায় জ্বলে পুড়ে
                     কাজল হয়ে
তোমার চোখের কিনারাতেই

বদল


স্যুটকেশটা হাতে করে রিকশায় উঠল
তারপর উঠল ট্রেনে
                  শুলো বাঙ্কে
দু'জোড়া সতর্ক চোখ থাকল চেয়ে - 
          যেন নীচে না পড়ে

শুধু কালের অপেক্ষা


তবে কি সব ভণ্ডামী ছিল?
হাতে হাত রাখা
   কাঁধে হাত রাখা
হাসিগুলো ছিল সৌজন্যের?
             প্রাণের না?

তবে এত অসহিষ্ণুতা কেন?

তবে কি গোপনে গোপনে সবাই আমরা
     বারুদ সাজাচ্ছিলাম?
শাণ দিয়ে রাখছিলাম ছুরি, কাটারী?

কথা ছিল


কথা ছিল একসাথে যাব স্নানে
                    দীঘির জলে
একসাথে দেব ডুব
       একসাথে উঠব পাড়ে

Subscribe to