Skip to main content

কিছু হারাওনি


হাতের মুঠোয় কটা কুঁড়ি ধরা ছিল
ভাসিয়ে ছিলাম জলে
ওরা স্বপ্নেতে আসে ফুল হয়ে ফুটে
"কিছু হারাওনি" যায় বলে

শুভদৃষ্টি


যতবারই চাঁদের সাথে চোখাচোখি হয়
কত জন্মের শুভদৃষ্টির কথা মনে পড়ে

সেদিন শ্রাবণের পূর্ণিমা 
মেঘের ঘোমটা টেনে 
   চাঁদ আসল আমার নিকানো উঠানে
অনেক গভীর রাতে।

আদিম ভাষা


অন্য কোনো ভাষায় কথা বলবে?
যে ভাষাতে মিথ্যা বলা যায় না!
সাজানো শব্দরা কর্পূরের মত উড়ে যায়

সে ভাষার ভাষা আমি জানি, 
তুমিও জানো
সে অনুচ্চারিত চিরটাকাল
তবু প্রকাশিত

তার উপরে আমার সৌখিন ভাষার প্রলেপ
মিথ্যার বুনুনিতে প্রাণের স্বাচ্ছন্দ্য মরে দম আটকে
আমি মূক হয়ে বলি কথকতার জাল
বধির হয়ে শুনি মিথ্যার বিষাদাবলী।

Spot 44

Faith
    to realize
Seek
    to know


(Bengali Version: বিন্দু ৪৪)
[Translated By: Subhajit Roy]   

বিপত্তি


মানুষটা খুব কষ্টে সংসার চালিয়েছেন 
এতটুকু অপচয় বরদাস্ত করেননি কোনোখানে

এখন বয়েস হয়েছে,
বুঝছেন, তার বাড়ির লোকও অপচয় পছন্দ করে না একরত্তি।

যত্তসব বাজে খরচ,
অনর্থক শ্বাস-প্রশ্বাসের মাশুল গোনা-
                   কি বিপত্তি!

ভুল ভালোবাসা


একটা ভুল মানুষকে ভালোবাসার অনেক জ্বালা। সব চেয়ে বড় জ্বালা হল, ভুলটা ভাঙলেও ভালোবাসাটা ভাঙে না। কিন্তু সেই ভালোবাসাকে শ্রদ্ধা করার মত শক্তিও আর থাকে না। কি সংকট। না যায় ভোলা, না যায় মানা। এ যে নিজের ভালোবাসা নিয়ে নিজেই নাজেহাল। না পারা যায় ভাসাতে, না পারা যায় ঘরে নিয়ে গিয়ে কুলুঙ্গীতে তুলে রাখতে। 

মানুষটা


মানুষটার ভিতরটা ছিল সমুদ্রের মত ভর্ত্তি।
লোকে ঢিল ছুড়লে, 
এমনকি থান ইঁট ছুঁড়লেও জল ছলকাতো না,
গর্জে উঠত না সে
যেমন পুকুরে ডোবায় হয়,
কারণ লোকটার ভিতরটা ছিল সমুদ্রের মত পূর্ণ।

না


বুঝত না?

         বলিনি তো!

মানত না।

ডাকত না?

         বলিনি তো!

চাইত না।

খুঁজে দেখো


যদি অনুভুতি চাও
তো বিশ্বাস রাখো
যদি জানতে চাও
তো খুঁজে দেখো

আমার না-বলা বাণীর ঘন যামিনীর মাঝে

"এমন কোনো পরিস্থিতি নেই, যার ওপর রবীন্দ্রনাথের কোনো গান বা কবিতা পাওয়া যায় না।"

     এ কথা আমিও আগে বিশ্বাস করতাম। বিশেষ করে গানের ক্ষেত্রে এ উক্তিটিকে ধ্রুবসত্য বলে জানতাম।

     আজ মনে করি না। আজ সে কথা কেউ বললে ভাবি, হয় আপনি পুরো গীতবিতানের পথ হাঁটেননি, নতুবা মানুষটাকে বোঝেননি। অহংকারীর মত শোনালো?

Subscribe to