Skip to main content

ইতিহাস সাক্ষী - একটি জাতির নিকট আরেকটি জাতির পরাজয়, একটি দেশের অপর দেশের নিকট বশ্যতা স্বীকার। কোনো একটি সংস্কৃতির অপর কোনো সংস্কৃতির নিকট নতি স্বীকার। 
কিন্তু অধুনা প্রত্যহ সংবাদপত্র, বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমের দ্বারা যে পরাজয় স্বীকারের ইঙ্গিত মিলিতেছে, সে লজ্জা অবহ, অসহনীয়। 

একদা এ দেশে বাৎসায়ন মহাশয় এমন সাহিত্য রচনা করিয়াছিলেন, এ কাল হইলে তাহা নোবেল না হোক, পুলিৎজার অবশ্যই পাইত। আজও সেই অমর সৃষ্টি পৃথিবীর বহু শয্যাভ্রষ্ট নরনারীকে সুপথের নির্দেশ দিয়া চলিতেছে, নবকলেবরে, আলোকিত, স্থির - অস্থির চিত্রে পরিমার্জিত, পরিবর্ধিত হইয়া। 
 
এদেশের বহু মন্দির গাত্র, আদি রসাত্মক শিল্পকলায় সুসজ্জিত হইয়া, ভারতীয় পূর্ব পূরুষদিগের (তথা রমনীদিগের) গভীর যৌবনবোধের সাক্ষ্য বহন করিয়া আসিতেছে। 
 
এ হেন ঐতিহ্যের ধ্বজা বহনকারী দেশের বংশধরেদের প্রতি আমাদিগের প্রতিবেশী দেশের এ হেন কটাক্ষ অসহনীয় শুধু নহে, লজ্জাজনক এবং অপমানজনক। তাহাদের ধর্মবোধ কে জাগাইলো? আমাদের দেশের শাক্যমুনি! আর অকৃতজ্ঞ তোরা আমাদের কি জাগাইতে চাহিতেছিস! ঘরে বাহিরে সে অঙ্গের বিত্তাপ পড়িস না খবরের কাগজ তথা অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমে?
 
অন্যভাবে দেখিলে, ভারতীয় পুরুষ ও নারীদিগের শয়ন কক্ষে একটি তৈল কিম্বা বটিকার মাধ্যমে প্রবেশ করিবার কৌশলকে, প্রতিবেশী দেশটির সুগভীর কূটনৈতিক চক্রান্ত বলিয়াই বোধ হয়। বিদেশি বস্ত্র এককালে আমরা বর্জন করিয়াছি, অধুনা এই বিদেশি তৈল বর্জনের একটি আন্দোলনের আবশ্যিকতা অনুভব করিতেছি। 
 
নতুবা সেদিন হয়তো বেশি দেরি নাই, যেদিন দেখিব, বিবাহের তত্ত্বের সহিত উক্ত তৈলটি আসিতেছে, পাড়ায় পাড়ায় প্রতিবেশী দেশটির খেঁদা নাসিকাবহ, ক্ষুদ্রকায় মানুষগুলি উক্ত তৈলের মর্দনাগার খুলিয়া নতুন ব্যবসা ফাঁদিয়াছে। বিদ্যালয়ে জীববিদ্যা পরীক্ষায় উহার উপর টীকা আসিতেছে। আরো ভয়ানক হইবে যেদিন দ্বারে দ্বারে উক্ত তৈলের বিক্রেতারা ক্ষুদ্র নমুনা দর্শন করিবার বা করাইবার উদ্দেশ্যে উপস্থিত হইবেন। উহু, উহু... আর কল্পনা করা যাইতেছে না। 
 
ভারতীয় তথা বঙ্গবাসীর পৌরুষের উপর এ হেন কটাক্ষ কি আমরা নীরবে সহ্য করিব? কদাপি নহে! জাগো, জাগো জাগো ও জাগিয়ে রাখো! এ লজ্জা জাতীয় লজ্জা, ইহা অনুধাবন করো।