অভিযোগ
আমার অন্যমনস্কতাকে উদাসীনতা ভাবলে
ভাবলে তোমায় দিচ্ছি ফাঁকি এড়িয়ে গিয়ে
ভুল করছ
আমি ফাঁকিতে পড়েছি চিরটাকাল
ফাঁকি দিই নি কখনো
এড়িয়ে গেছি অভিযোগের পরামর্শ সাবধানে, উপেক্ষায়
নিজের সাথেই খেলেছি বাঘবন্দি খেলা
তবু অন্যের অভিযোগ থেকে পারিনি বাঁচতে
এই ভাল,
না হয় অভিযোগেই থাক যোগাযোগের সাঁকো
আশা
একজন মানুষ সারা জীবনে কটা বসন্ত পায়?
সে জানে না
তবু সে প্রত্যেক বসন্তে করে বর্ষার জন্য অপেক্ষা
প্রত্যেক বর্ষায় করে কাশের জন্য প্রতীক্ষা
সেই নদীটা
রাস্তার ধারে ধারে একটা বিষন্ন নদী
আমার চলা-ফেরার দিকে তাকিয়ে থাকে
অপলক
আমাদের দৃষ্টি বিনিময়ের মধ্যে থাকে
কিছু কথা লুকানো
জানি সে কথাগুলো ওর বুকে নুড়ি হয়ে
Lunatics
We, few friends were returning from Puri. Down Puri Express of 8pm.
We had reached the station quite early. Train was already waiting at platform.
O Lord
I am not able to see you,
the world become visible through you.
I am not able to hear you,
I listen world's message through your whisper.
I am not able to understand you,
I can realize my bondage through your light.
I don't search you,
I search me within myself inside you.
মাঝে মাঝে
মাঝে মাঝে কৌটোটাকে উল্টিও
হয়তো হারিয়ে যাওয়া,
চাপা পড়ে যাওয়া এমন কিছু পেয়ে যেতে পারো
যা অনেকদিন ধরে খুঁজছিলে
হতে পারে সেদিন খুব দরকারী ছিল না
ভয় পাচ্ছ?
ভাবছ কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরোবে?
তা কেন?
ছাইগাদায় অমূল্য রতনও তো থাকতে পারে!
দেখোই না কি হয়?
আর অন্যভাবে দেখতে গেলে
কেঁচোর থেকে কেউটেই ভাল
বাঁচার মত বাঁচা যাবে
স্বামীজি
তুমি যুক্ত করতে চেয়েছিলে
নিজের বৈশিষ্ট্য না হারিয়ে মেলাতে চেয়েছিলে
সব ধর্মকে বললে
মিলিত হও মানবধর্মে।
প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যকে বললে
মিলিত হও ধর্মে ও বিজ্ঞানে।
ধর্ম ও যুক্তিকে বললে
মিলিত হও হৃদয়ে ও মস্তিষ্কে।
ব্যষ্টি ও সমষ্টি জীবনকে বললে
মিলিত হও সত্যে ও সেবায়।
পুরাতন ও নূতনকে বললে
মিলিত হও উদারতা ও শ্রদ্ধায়।
হে প্রভু
আমি তোমায় দেখতে পাই না
তোমার ভিতর দিয়ে জগৎটাকে দেখি
আমি তোমায় শুনতে পাই না
তোমার শোনা দিয়ে ভুবন বার্তা শুনি
আমি তোমায় বুঝি না
তোমার আলোতে আমার বোঝা বুঝি
আমি তোমায় খুঁজি না
তোমার ভিতরে আমার আমিকেই খুঁজি
আমাতে তোমাতে অনন্তকাল আছি
পরমানন্দে আত্মময় নিতান্ত কাছাকাছি
বাসন্তীদেবী
কেন রে এই দুয়ারটুকু
মনে হয় মৃত্যু সবচেয়ে বেশী সার্বজনীন। সকাল বেলায় নিজের কাজে ধরাবাঁধা ছকে ব্যস্ত, এমন সময় একজন খবর দিল পাশের পাড়ার একজন মিস্ত্রী মই থেকে পড়ে মারা গেছেন। কয়েকদিন হাসপাতালে ভর্তিও ছিলেন নাকি। তার একটু পরেই খবর পেলাম কলকাতার খুব নামকরা একজন চিকিৎসকের বাচ্চা ছেলেটা ICU তে জীবন মরণের স্পর্শরেখায় লড়ছে।