Skip to main content

মামু

আমি আর আমার জান- মামু...আমার দিদির মেয়ে। 
 
ওর সাথে আমার প্রথম দেখা হল ওর ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরই। নার্স বললে, দেখে যান। দেখি একটা ট্রের উপর সদ্য ইহজগতে আসা ছোট্ট মানুষটি। নাভির সাথে তখনও মায়ের শরীর থেকে আসা ডেটা কেবিলের কিয়দংশ লেগে। 
 

সবাই আলাদা আলাদা শুয়ে

সবাই আলাদা আলাদা শুয়ে। কেউ কারোর পাশে নেই। শুকনো কিছু পাতা উড়ে বেড়ায় ওদের উপর দিয়ে। ওরা টের পায় না। মাটির কাছে থাকলেও চারদিকে তাদের অসংবেদনশীল আস্তরণ। তার উপরে আসা যাওয়ার তারিখ লেখা। তারাই কথা বলে এখন।

অজগর

(কাল - প্রাক্ স্বাধীনতা; স্থান - বাংলার অখ্যাত একটি গ্রাম)

তুমিও তাই বলবে?


যে রাস্তাটা অর্ধেক হেঁটে ফিরে গিয়েছিলে
আমি এখনো ঠিক সেখানেই দাঁড়িয়ে

দেখতে দেখতে কত কি পাল্টে গেল
কত কেউ এলো গেলো
আমি এক বিন্দুও নড়িনি
                      দেখো

অন্ধকারের রাজা

হাসিতে রঙ করা মুখগুলোর পিছনে ঘন জঙ্গলের অন্ধকার। 

অন্ধকারগুলোর গন্ধ খুব চেনা। ফিসফিস শব্দ আসে। স্পষ্ট না। মাঝে মাঝে দীর্ঘশ্বাস। কোনো রাতজাগা পাখির ডানা ঝাপটানোর শব্দ। ফোঁপানো কান্না। চাপা আর্তনাদ। এদিক ওদিক থেকে উঁকি দেয় তীক্ষ্ম রক্তচক্ষু, তাতে খোদাই করা প্রতিহিংসার নেশা। 

সাধ


বয়স্ক মানুষটার চোখ বোজার সময় এল
ছুটে গিয়ে দু'পা জড়িয়ে বললাম -
ওগো একটু দাঁড়াও। পুরোপুরি চোখ বোজার আগে বলে যাও, কি পেলে, কি বুঝলে এতবড় জীবনটায় বেঁচে?

সে হাসল। চোখের জল গাল গড়িয়ে পড়ল বালিশে।

সে বলল, পেলাম জীবন -
এক সমুদ্দুর দুঃখ, তাতে কয়েক ডিঙি সুখ

আশীর্বাদ


অসময় অসময়ে এসে কড়া নাড়ল
                      সময়ের দরজায়
গিঁট বাঁধা হল না
     পুঁথিগুলো ছড়িয়ে পড়ল মেঝেয়

ভ্রমর


আমি তোমায় পেয়েছি
মুঠোতে নয়, তোমাতে ডুবে
এখন না পারো হারাতে তুমি
               না পারি আমি
আমায় হারালো ওরা
আমি হারালাম ওদের
ওদের ছিল সংশয়
ওরা বলেছিল-
নেই মধু, এ শুধু ফুলের রঙীন, মিথ্যা সাজসজ্জা। যেও না!

রাস


বাঁশি বললে, এসো
আত্মা বললে, আসছি

বুদ্ধি বললে, যেও না, না হও ব্যভিচারী
হৃদয় বললে, মরণ যেখানে দোসর সেখানে ব্যাভিচার?

সমাজ বললে, আমি মিথ্যা তবে?
ব্যাকুলতা বললে, কই তুমি?

স্বামী এসে বললে, দাঁড়াও আমি আছি!
শরীর বললে, পথ ছাড় মূর্খ, ও যাক, আমি না গেলেও ও যাবে।

চাঁদ বললে, তৈরী?
প্রসাধন বললে, হ্যাঁ

জগৎমে ঝুঠহি দেখি প্রীত


সুরে বাজল প্রশ্ন, কোন ধারায় বও?
- জানি না
- জানো না কেন? 
- কি করে জানব বাউল? মাটিতে শিকড় গেড়ে দু'হাত শূন্যে তুলে গোত্তা খেয়ে পড়ে আছি। বাইবার সময়ই বা কই আর সুযোগই বা কই?
- হুম। তা শিকড়টা গাড়ল কোন মাটিতে?
- বুঝলাম না।
- বুঝাচ্ছি। মাটিটা এঁটেল না বেলে?
- মনে তো হয় এঁটেল

Subscribe to