Skip to main content
রাঙিয়ে গেল হৃদয় গগন


আসন্ন সন্ধ্যা। অস্তমিত রবি পশ্চিমাকাশে। চারদিক তপস্বীর মত শান্ত, বিরহীর মত উদাস। ঘর ফেরা পাখির দল ফিরে গেছে খানিক আগে। মেঘের ফাঁকে ফাঁকে শেষবেলার সূর্যের সোনালী আভা। যেন পুরবী বাজছে বাতাসে বাতাসে। বাতাসের ভেজা আঁচলে যেন কান্নাভেজা সুর। 

কে এক অদৃশ্য পথিক এসে বসল সাগরের জলে পা ডুবিয়ে বালির তীরে। সে বাজাল বাঁশি। পূরবী বসল সে পথিকের পাশে। বাঁশিতে লাগল করুণ সুর। প্রতিটা বালিকণার চোখ উঠল সজল হয়ে। সাগরের হৃদয় হল উদাস। সে তার ঢেউ আছড়ানোর শব্দে দিল তাল। আকাশ মেঘের আড়াল থেকে তাকাল সমুদ্রের দিকে। উদ্বেল হল তার অন্তঃস্থল। সন্ধ্যাতারা তাকে বললে, স্থির হও, ও তোমাকেই বুকে নিয়ে অনন্তকাল ধ্যানে। আকাশ বলল, তবু কেন এ দূরত্ব? সন্ধ্যাতারা বললে, তাই তো এ সুর। শুনতে পাচ্ছো না, পূরবী বাজছে সে দূরের ব্যাথাকে কাছের সুরে এনে। আকাশ শান্ত হল। মেঘ হল আরো কোমল। সুখের মত নরম।

বাতাস চঞ্চল হল। দিগন্তরেখার সাথে হল তার চোখাচোখি। সে বলল, আমি আসছি। 

অস্তমিত দিবাকর প্রণাম করলে সে বাঁশিওয়ালাকে। বললে, আজকের মত দাও প্রভু ছুটি। তারারা আসছে বরণের ডালি হাতে। আমার যে আর চলে না থাকা। 

বাঁশিওয়ালা বললে, এসো। এ বিরহ মিলনের যে সংসার কাব্য আমার রচনা, তুমি তার প্রতিটা অধ্যায়ের কর সূচনা। এসো আজকের মত। কাল হোক নব অধ্যায় তোমার আলোয় নতুন করে।

(Samiran দা ছবি দিয়ে সুর আঁকতে পারেন মনের ক্যানভাসে। এই ছবিটা তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ লেখা ওনার অসামান্য শিল্পসত্তার প্রতি আমার শ্রদ্ধার্ঘ্য)