টু দ্যা সেক্রেটারীস, শুভ বিজয়া স্যার/ ম্যাডাম/?
এবার প্যাণ্ডেলগুলো খুলে ফেলুন প্লিজ। একটু তাড়াতাড়ি করুন। এত মাইকের আওয়াজ হচ্ছিল আপনারা শুনতে পাননি, এই বড় রাস্তাটার সামনেই যে বাঁদিক ঘেঁষে গলিটা, ওর পাঁচ নম্বর বাড়ির ভদ্রলোকের (অবশ্য ততটাও ভদ্রলোক নন, শুনেছি ক্লার্ক ছিলেন কোনো একটা প্রাইভেট স্কুলের, কত টাকাই বা মাইনে পেতেন!) হাঁপানির টান উঠেছে সপ্তমীর দিন রাত থেকে। বেশিরভাগ সময় একটা সবুজ নাইটি পরে থাকা ওনার মেয়েটা এখানে ওখানে ছুটে বেড়িয়েছে একটা
দশমী
ওনারা অনেকক্ষণ হল ঝুল বারান্দায় বসে। বিকাল ছটা থেকে। সামনে লোকের ভিড়। বাড়ছে। বিসর্জনের বাজনা। সিঁদুরে সিঁদুরে লাল প্রতিমার মুখ। মুখে ভাঙা মিষ্টি। উত্তাল ঢাকের আওয়াজ। নাচ, উদ্দাম নাচ।
বৃদ্ধ-বৃদ্ধার চোখজোড়া ইতস্তত খুঁজছে রাস্তায় চেনামুখ। ছেলে, ছেলের বউ আর দুটো নাতনি। এবারেও এলো না। গতবারও আসেনি। গতবার অফিসে ছুটি ছিল না। এবার পেয়েছে। বেড়াতে গেছে বাইরে, সিঙ্গাপুর।
কি ভাবছ
যেন
নবমী
রাস্তার ধারে বসে আছে পাগলীটা। তাকে ঘিরে মাছি ঘুরছে ভনভন করে। কালো মোটা বোঁচকাটায় পিঠে ঠেসান দিয়ে আছে মল্লিকদের বাড়ির রকে। সামনে চলেছে লোকের বান। পাগলী আলোর খেলা দেখছে মুখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে। হঠাৎ কানখাড়া করে কি শুনতে লাগল। মাইকে হারিয়ে যাওয়া মানুষদের ঘোষণা চলছে। তাদের পার্টি অফিসের সামনে দেখা করতে বলছে। পাগলী চুল পাকাতে পাকাতে শুনছে মন দিয়ে। চোখে মুখে উদ্বিগ্নতা। তার চোখে রাস্তায় লাগানো আলোর ঝলকানি।
এক্সপায়ারী ডেট
অষ্টমী
কুসুমের এই সময়টায় অনেক কাস্টমার। কোমরে ব্যাথা হয়। তলপেটটাও টাটায়। তবু অন্যদিনের মত ঘুমিয়ে পড়ে না ভোরের দিকে। পূজোর দিনগুলো ডালা সাজিয়ে প্যাণ্ডেলে যায়। আজ অষ্টমী। পুরোহিত বসে প্রতিমার সামনে। তার আরেক কাস্টমার। পুরোহিতের দুইদিকে দুই নারী। মাটির আর রক্তমাংসের। পুরোহিতের মন্ত্রপড়ার আওয়াজ বেড়ে যায়..ওঁ অপবিত্র পবিত্রবা সর্বাবস্থাং...
মেঘ
সূর্য বাষ্পীভূত করে জলকে
পাত্রকে জলশূন্য করে
আমি বহুকাল আগেই বাষ্পীভূত
তোমার চোখের তাপে
'আমি' শূন্য বুকের খাঁচা এখন
আজ আমি মেঘ
বন্ধুতা (PDF)
সপ্তমী
মেয়েটার বছর বারো বয়েস। একটাই জামা হয় প্রতিবার। এবারেও হয়েছে। বাবার মিল বন্ধ। তাই জুতো হয়নি। জামাটা হলুদ রঙের। ইচ্ছা ছিল একটা লিপিস্টিক যদি দিত কিনে..হলুদ রঙের।