Skip to main content
মুড়ি বিক্রী করতে আসেন
    পঁয়তাল্লিশ ঊর্দ্ধ, চশমা চোখে ছিপছিপে মহিলাটি
    চোখে মিনতি নেই,
 
নিজেকে সম্মান করলে যেমন দৃষ্টি হয়, তেমন দুটো চোখ।
  একটু হেসে বলেন, দাদা মুড়ি কি লাগবে?
  সুচতুর নম্রতার হাসি না
নিজেকে ভালোবাসলে যেমন হাসি ভাসে সারা মুখে
      তেমন হাসি।

কে একজন বলল, মেয়েদের অত সোজা দাঁড়ানো ভালো না
   কেমন যেন ছেলেছেলে ভাব, বিশ্রী!!
তাকিয়ে দেখলাম, না না পুরুষ নয় সে
   বড় বাড়ির সাবেক কালের গিন্নী?
বললাম কেন গো, মেয়েদের মেরুদণ্ডে বুঝি হাড়ের সংখ্যা কম?
 
   তিনি বললেন, অমন হলে সংসারে লাগে ঠোকাঠুকি, ন্যাকা, যেন কিছুই বোঝো না, মঙ্গলগ্রহে ছিলে?
   ভাবলাম তাই তো ঠিক,
   হোক না সে পড়াশোনা জানা মেয়ে,
 
নরম মেরুদণ্ডে সোজা দাঁড়াবার স্পর্ধা!!
    পায় কোথা সে? যাদবপুরের বিশ্ববিদ্যালয়ের কুশিক্ষাতে না
   বাড়ির লোকের অশিক্ষাতে?!!
 দিয়েছে থামিয়ে সংসারের যাবতীয় ঠোকাঠুকি, এক্কেবারে যমের দুয়ারে ঠেলে!!

   মুড়ির বস্তা মাথায় উঠিয়ে চললেন তিনি পাশের বাড়ির দিকে
    সাবেকি গিন্নী গেলেন রান্নাঘরের দিকে
  পথের সোহাগ আর বরের সোহাগ
    আমায় দু ফালা করল দরজার মাঝখানে

    তবু কানের মধ্যে একটাই কথা, প্রবল আত্মবিশ্বাসে -
    দাদা মুড়ি লাগবে কি?
   এমন সোজা দাঁড়ায় কি করে?
   অশিক্ষাতে না কুশিক্ষাতে?

Category