মেহেদি হাসান
সব প্রেম হারিয়ে গেলে
মেহেদি হাসান আছে
অনেক জন্ম এমনি এমনিই
বন্ধক ওর কাছে
এসো
কেন এসেও এলে না?
আমি অন্যমনস্ক ছিলাম?
না তুমি ছিলে সংশয়ে?
একবার সব ছেড়ে এসো
মনে হবে
একদিন সব ছেড়ে গিয়েছিলে
ভাগ্যে
ভাগ্যে তুমি আমার সামনে অতবড় প্রাচীরটা তুলেছিলে,
না হলে জানতেই পারতাম না - আমি এতটা উঁচুও চড়তে পারি!
ভাগ্যে তুমি আমার সামনে এতটা অন্ধকার তৈরি করেছিলে
না হলে জানতাম কি করে- আমি এত অন্ধকারেও দেখতে পারি!
দু-মুখো আয়না
ভিতরে যেন দু-মুখো আয়না বসানো। বাইরের দিকে মুখ করা যেদিক, তাতে পড়ছে বাইরের ছবি। আর ভিতরের দিকে মুখ করা যেদিক, সেদিকে পড়ছে ভিতরের ছবি।
বশীকরণ
নিবারণ সমাদ্দার ওলটা সিদ্ধ করতে দিয়ে চুপ করে তার দোকানের সামনে এসে বসে আছে। নিবারণের দোহারা মাঝারি উচ্চতা। চাপা রঙ। বেশ গোলগাল মুখ। একটা নীল শার্ট আর ধুতি পরে দোকানের সামনের বেঞ্চে বসে পা দুলাচ্ছে। বয়েস এই পঞ্চান্ন'র কাছাকাছি হবে। বাড়িতে স্ত্রী আছে (বাসন্তীদেবী, লোকে বলে উনি বাপের বাড়ি গেলে নাকি পাড়ায় কাক-চিলের সংখ্যা বেড়ে যায়) আর এক মেয়ে, নাইনে পড়ে, ফুলটুসি।
বিকল্প
সারাটা জীবন এমন ভাব করলে
যেন তোমার জমিতে রয়েছে শুধুমাত্র একটা আগ্নেয়গিরি
আর তোমার কাজ যেন একটাই -
সকাল সন্ধ্যে, বর্ষা বসন্ত
শুধুই অগ্ন্যুৎপাত ঘটানো
কেন গো
জমিতে একটা বাগান করলে কি হত?
শক্তি মানে কি শুধুই আগুন?
শিকড় না?!
তবে ধৈর্য মানলে না কেন?
নোনতা কমলালেবু
একটা কমলালেবু। তুমি দাঁড়াও,
আমি একটা একটা কোয়া ছাড়িয়ে তোমার হাতে দিই,
তুমি খাবে কি না খাবে, তা শুঁকে দেখে ঠিক কোরো ...
অপেক্ষা
সকালের আলোয়
ফুটবে বলে ...
নীলাচলে তিনদিন
আজীবন
নিজের থেকে পালাবে বলে ঈশ্বরকে খুঁজলে আজীবন
ঈশ্বরের মুখোশের আড়ালে কে যেন ভয় দেখিয়ে গেল তোমায় আজীবন
কলঙ্কে তোমার ভয়
তাই কলঙ্ক সৃষ্টি করলে মনের আনাচেকানাচে
ওদের ধুয়ে ধুয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখলে আজীবন