তিয়াত্তর বছর, ন’মাস, দশদিনের দিন রাতে হঠাৎ খেয়াল করলেন তার জীবনে যা যা ঘটেছে সব ঘটনা স্বাভাবিক নয়। অথচ সব ঘটনাকে উনি এতদিন স্বাভাবিক মনে করে এসেছেন। রাত সাড়ে বারোটা। এখন ডাকলে কেউ আসবে না। কিন্তু কাউকে একটা তো বলতে হবে। কিভাবে বলবেন? বিছানা ছেড়ে উঠলেন, যে বিছানায় ছেচল্লিশ বছর একজন মহিলার সাথে শুয়েছেন, তার দুই সন্তানের মা, তিন বছর আগে মারা গেছেন।
...

বয়েস তেরো। বিহারের স্কুল। স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল, ক্লাসমেট, শিক্ষক সবাই মিলে, বহুদিন ধরে, বাকিটা বলে দিতে হবে? বুঝতে পেরে গেছি না? আবার মনে হচ্ছে না কেন কেন কেন... কোথায় ভুল হচ্ছে? সমাধান জানি না। কেউ জানি না।

এযাবৎ জীবনে অনেক সান্ত্বনাবাক্য শুনেছি, আজকের মত শুনিনি। সরকারি হাস্পাতাল, চারদিকে থিকথিক করছে ভিড়। একটা পেশেন্ট পার্টিকে একজন সবজান্তা দাদা(সব পেশেন্ট পার্টির সাথেই থাকেন) সান্ত্বনা দিচ্ছেন।

কথাটা নয় ফেসবুক
...

এককালে আমার ছাত্র ছিল। এখন বন্ধু, খুব কাছের, আদরের আমার। একটা বেশ নামকরা মাল্টিন্যাশেনাল কোম্পানিতে কাজ করে এখন। আমায় খানিক আগে লিখে পাঠালো -

পায়ের ফাঁকে ফাঁকে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। জড়িয়ে মুখ থুবড়ে স্টেশানের উপর পড়েই যেত হয়ত লোকটা। সামলে নিয়ে উঠে দাঁড়াল। একটা বিড়ি বুক পকেট থেকে বার করে ঠোঁটে চেপে ধরে দেশলাইয়ের প্যাকেট লুঙ্গীর কোমরের ভাঁজ থেকে বার করল। কাঠি নেই। ফাঁকা দেশলাই বাক্সটা রেললাইনে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে ঠোঁট থেকে বিড়িটা নিয়ে ডান হাতের মধ্যমা আর বুড়ো আঙুলের মধ্যে রেখে নাড়ালো কিছুক্ষণ।

একটু সরে দাঁড়াও
...