Skip to main content

ভাবছি দেশে আর না জানি কি বিটকেল সব আইন আছে

ভাবছি দেশে আর না জানি কি বিটকেল সব আইন আছে। এ অনেকটা মহালয়ার আগে ঘর ঝাড়ার মত হচ্ছে। তা বেশ, আচ্ছা ইয়ে করে হাতমাটি না করা নিয়েও কি আইন বানিয়েছিল ওই লালমুখো গুলোন? কিম্বা তরকারিতে নুন কম হলে? কিম্বা যীশুর নামে রোববার করে নৈবেদ্যে না দিলে ইত্যাদি ইত্যাদি...

সুপ্রিমকোর্ট পরকীয়াকে বৈধ ঘোষণা করেনি

        সুপ্রিমকোর্ট পরকীয়াকে বৈধ ঘোষণা করেনি। শুধু শাস্তির আইনি ব্যবস্থাটা তুলে নিয়েছে। তা বাপু আর কদ্দিন পুলিশের ভয়ে নীতিবান থাকবে? নীতিগতভাবেও তো সাবালক হতে হবে নাকি?

ভাষা কথা

আত্মবিশ্বাস হারাতে শুরু করলে মানুষ নিজের সাথে সাথে নিজের বলতে যা কিছু তার উপর জোরও হারাতে থাকে। আমাদের ভাষার জোর যে কাজের ক্ষেত্রে অনেক কমে এসেছে তার কারণ এই নয় যে আমাদের পরিভাষা নেই, কারণ এই যে আমাদের পরিভাষা বানানোর তাগিদ নেই। তার ব্যবহারের দরকার নেই।

আকাশ তুমি দাঁড়িয়ে থেকো


আকাশ তুমি দাঁড়িয়ে থেকো
বাতাস তুমি ফিরে যেও না
মাটি তুমি ধৈর্য ধরো
আগুন তুমি নিভে যেও না
জল তুমি মিলিয়ে যেও না

মানুষ আবার ফিরবে
   এদিকেই ফিরবে

ভালোবাসা তুমি হলুদ হোয়ো না

আমার অধিকার আছে

আমার অধিকার আছে, 
  বাড়ানো হাত ফিরিয়ে দিয়ে
             না ভালোবাসার

আমার অধিকার আছে,
  উঠোনটায় একটাও ফুলগাছ না লাগিয়ে
       সম্পূর্ণ ন্যাড়া করে রাখার

বিদ্যাসাগরের কয়েকটি তির্যক গল্প ও উদ্ধৃতি – শেষ পর্ব

এক গ্রামে দুই বিদ্যাবাগীশ খুড়ো ছিলেন। ইহারা দুই সহোদর। জ্যেষ্ঠ নৈয়ায়িক, কনিষ্ঠ স্মার্ত (দুই ভিন্ন দর্শন অবলম্বী শাস্ত্রবিশেষ)। একদিন এক ব্যক্তি ব্যবস্থা জানিতে গিয়াছিলেন। স্মার্ত বিদ্যাবাগীশ বাটিতে নাই শুনিয়া তিনি চলিয়া যাইতেছেন দেখিয়া, নৈয়ায়িক বিদ্যাবাগীশ জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি কি জন্যে আসিয়াছ।

তোমরা কারা?

       অবশেষে প্যাডে মাসিকের রক্তের দাগে শারদীয়া উৎসবের অভিবাদন জানাতে হচ্ছে! 
       আমার ভয় হচ্ছে, নারীরা কি ভুলতে চলেছে তাদের জননতন্ত্র ছাড়া একটা মস্তিষ্ক নামক অঙ্গও আছে। এ দেশে আশাপূর্ণাদেবী থেকে মাতঙ্গিনী নামক অনেক শ্রদ্ধেয়া মস্তিষ্ক জন্মেছিলেন। আজও কান পাতলে তাদের কণ্ঠস্বর কানে শুনি। তোমরা কারা?
 

বিদ্যাসাগরের কয়েকটি তীর্যক গল্প ও উদ্ধৃতি - প্রথম পর্ব

হৃদয়ের সাড়া এলে আর শাস্ত্রের দোহাই লাগে না। সে ঠিক, কিন্তু সে নিজের কাছে লাগে না, কিন্তু সমাজের কাছে? যে সমাজ দেশাচারের অন্ধশৃঙ্খলে মানুষকে মানুষ পর্যন্ত জ্ঞান করতে ভুলেছে? তার বেলা? তখন ঝুড়ি ঝুড়ি প্রমাণ জোগাড় করতে হয়, বলতে হয়, তোমরা যা করছ তা ভুল, তা বর্বরোচিত, এখনই বন্ধ করো, নইলে সভ্যতার ইতিহাসে মুখ দেখানোর যোগ্য থাকবে না।

এক বিন্দু জল

এক বিন্দু জল
না হয় হারালোই
হয় মিশল সাগরে
  নয় মিলালো শূন্যে

  না হয় তাই হলই

Subscribe to