যে গোলাপটা ফুটেছিল
আমার অস্তিত্বের কি কোনো সংজ্ঞা হয় ?
...
বুদ্ধিকে রেখেছিলাম পাহারায়
বুদ্ধিকে রেখেছিলাম পাহারায়,
সে-ই হল চোর
অসর্তকতায়,
নিজের ঘরে
স্নেহ
স্নেহ, একটা বেড়া ঘেরা ভালোবাসা। করুণা, চাষের জমিতে খালকাটা ভালোবাসা। এর একটাও যদি না থাকে, তবে একা না থাকাই ভালো। অন্যের বেড়ার মধ্যে অথবা অন্যের খালের কাছাকাছি থাকাই নিরাপদ। নইলে শরীর ভীষণ আঁশটে ভাষায় কথা বলে। তাতে যত না নিজের বিপদ, সমাজের বিপদ আরো বেশি।
অন্যরকম
অন্য কোনো একটা হাওয়া এসেছিল
অন্য কোনো দিক থেকেই এসেছিল
কিছু একটা বলতে চেয়ে
সব কিছুকে অন্যরকম করে
ভ্রুকুটিতে বড় নিষ্ঠুর হেসেছিল
আমার লাইব্রেরি বিরহ
আজ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে বিবেক দেবরায় মহাশয় খুব আক্ষেপ করে লিখেছেন যে কলকাতার প্রধান গ্রন্থাগারেও আধুনিক বইয়ের সংযোজনের হার খুব কম। এবং কি কি আইনে সেটা দণ্ডনীয় অপরাধের মধ্যে পড়ে, তাও লিখেছেন। তা অতবড় মানুষটা যখন বলছেন, তখন অমন একটা আইন নিশ্চয় থাকবে। কিন্তু যে দেশে লাইব্রেরিতে সেই কালিদাসের পর
শোধন
সমস্ত অন্ধকার লুকিয়ে
সূর্যোদয়ের বিপরীতে হাঁটছিলাম
ভোরের শিশিরে পা পিছলালো
সূর্যাস্তের পোড়া ইটের রঙে
সূর্যোদয়ের কান্না কাঁদলাম
তোমারও
তোমার পায়ের তলায় ধুলো ছিল
আমারও পায়ের নীচে ধুলো
তোমার মাথার উপর আকাশ ছিল
আমারও মাথার উপর আকাশ
তোমার আশেপাশে ছিল মানুষজন
আমারও চারপাশে আছে
শুধু তোমার একদিনে ছিল
অনেকগুলো দিন
আমার একদিনও যেন অর্ধেক
আলোকে ভরা উদার ত্রিভুবন
ওরা তিনজন
গন্তব্য নেই আর গন্তব্য হারিয়েছে - এমন দুজন রেল স্টেশানে দাঁড়িয়েছিল
যার গন্তব্য আছে, তার ব্যস্ততা দেখে
যার গন্তব্য নেই মৃদু হেসেছিল
যার গন্তব্য হারিয়েছে লজ্জা পেয়েছিল
সিগন্যাল হল
লাইন জোড়া হল
ইঞ্জিনের ধোঁয়া দেখা গেল
ট্রেনটা এলো না