আমার বিবেকানন্দ
বিবেকানন্দকে প্রথম দেখি
প্রাইমারি স্কুলে পড়তে
সেই যে বস্তির লোকটা
কি একটা দুর্ঘটনায় মারা গেল
তার বুড়ি মা আমাদের বাড়িতে ভিক্ষা করতে এলো
ওর পিছনে পিছনে এসে দাঁড়ালো বিবেকানন্দ
কিছু বলছিল না
শুধু বড় বড় চোখে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল
শর্তাবলী প্রযোজ্য
পকাদা ঘুমের মধ্যেই নাকে একটা বোঁটকা গন্ধ পেল। লঞ্চটা অল্প অল্প দুলছে, ঘুমটা দারুণ হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ গন্ধ কোত্থেকে এলো? পকাদার চোখ খুলে মনে হল সামনের বেডে কেউ একটা শুয়ে। চশমাটা চোখে দিয়েই আঁতকে উঠল পকাদা, একটা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার তার মুখের দিকে তাকিয়ে বসে আছে। পকাদা'র দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলল, গুড মর্নিং।
সব আছে
ভালোবাসা সব সময় গোল
সে অতি বিষম বস্তু
স্নেহ অতি বিষম বস্তু। স্নেহবস্তু যত সুক্ষ্ম তাকে নিয়ে সমস্যাও তত গুরুতর। যেমন ধরুন LDL এর কথা, যেই না রক্ত পরীক্ষায় এল যে সেই সুক্ষ্ম স্নেহ আপনার রক্তে ঘোরাফেরা করে বেড়াচ্ছে তখন আর নিশ্চিন্তে থাকার জো রইল না। যখন তখন যেখানে সেখানে জমে এক বিদিকিচ্ছিরি কাণ্ড ঘটিয়ে বসাবে। চিকিৎসকের স্নেহদৃষ্টি থেকে বঞ্চিত হবেন। ঘরে
জেগে থাকো
সমস্তটুকু আড়ালেই ছিল
আমিও ছিলাম
যেদিন সবটুকু বাইরে এল
আমিও নিজেকে নিয়ে বাইরে এলাম
বাইরে সেদিন কিসের যেন মেলা
বাইরে সেদিন কিসের যেন উৎসব
ক্রমশ হাত ছেড়ে গেল
রেশ কেটে গেল
সুখ ভ্রান্তিতে মিশে গেল
ঘুম যখন ভাঙল
ভাঙা মেলার ফিরে যাওয়া
উৎসব শেষের অবসন্নতা
চাতুরী
কোনো অনুকম্পায় না
বড় কাঙালপনায় আমার শালটা
তোমায় গায়ে জড়াতে দিয়েছিলাম
মহত্ব না,
এ চাতুরী
শুধু সুবাসটুকু চুরির আছিলায়
ভাগ্য বরাদ্দ সময় পেরিয়ে
আরেকটু কাছে চেয়েছিলাম
দুই সত্য
সংসারে দুটো সত্য আছে।
একটা সত্যকে যুক্তি চেনে। তার দৃষ্টি আর কতটুকু? গভীর অন্ধকারে স্ট্রিট লাইটের অহংকার যতটুকু।
আরেক সত্যকে চেনে হৃদয়
যখন মুমূর্ষু রুগীর চোখে রেখে সকরুণ আশ্বাস
চিকিৎসক বলেন, এই তো সেরে উঠলেন বলে
কোনো সংশয়ের নেই যে অবকাশ
ভাপা পিঠে
- পা থাকলেই কি লাথি মারা লাগে বোকা?
- না, লাগে না?
- বুদ্ধিমানের লাগে না, বোকাদের লাগে।
- আমি কি বোকা তবে?
- তুই বল...
- আর চা নেবে?