আমাকেও সঙ্গে নিও
তুমি ছাড়া
সব তছনছ করে যাবে
আর কে বলো?
এসো
আমার আবার সব গোছানো হয়ে গেছে,
নতুন রকম করে
এবার আসবে যখন
পারলে সব
পুড়িয়ে দিয়ে যেও
কর্তব্য
"কর্তব্যটুকু করে যাই, তারপর যা হবার ঈশ্বরই জানবেন।"
নার্সকে কথাটা শেষ বলেছিল। এই বাক্যটা বলে আসছে একত্রিশ বছর বয়েস থেকে। আজ এই চুয়াত্তর বছর দশমাস তিনদিনের দিন শেষবার উচ্চারণ করল। কথাটা বলে শুলো। আর জাগল না।
আদিম অনন্ত আকাশ
অতিমারীর প্লাবনে
সদ্য মা হারা
বাচ্চা মেয়েটা
ঘরের সব আলোগুলো জ্বেলে
দাঁড়িয়ে ঝুলবারান্দায়
একা
অনুভব না জন্মালে
মানুষ মানেই ভয়। 'সাহস' ঠিক ভয়ের বিপরীত শব্দ নয়। সাহস হল ভয়কে প্রতিরোধ করার শব্দ। বা আরো সাদা ভাষায় ভয়ের সঙ্গে যোঝার শব্দ। 'অভয়' শব্দটা ভয়হীনতা, সে সবার আসে না। সক্রেটিস, ব্রুনো, চৈতন্য, খ্রীষ্ট, স্পিনোজা, গ্যালিলিও প্রমুখ যেসব বিখ্যাত মানুষদের কথা ইতিহাসে শোনা যায়, যারা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে হলেও একটা আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। তাদের নিয়ে কথা নয়। ভয় হয় তো তা
স্বেচ্ছা আত্ম-অবমাননা
মানুষ দুঃখ থেকে ত্রাণ চায়। সে কোন দুঃখ? খিদের দুঃখ, পরাধীনতার দুঃখ, অপমানের দুঃখ।
বাড়াবাড়ি
মানুষটা চাইত তার ঘরের দেওয়াল জুড়ে থাকবে হালকা সবুজ একটা রঙ। ঘরের চারদিকে দুটো জানলা থাকবে, গুমোট গন্ধ হবে না ঘরে। সকাল-সন্ধ্যে হালকা একটা ধুপের গন্ধ ঈশ্বরের চরণের মত ধীরে ধীরে পা ফেলে তার এ ঘর সে ঘর ঘুরে যাবে। তার বাথরুমে থাকবে হালকা সাবানের গন্ধ, মেঝে থাকবে শুকনো। খাবার আয়োজন হবে না এলাহি। থাকবে স্বাদ, থাকবে মাত্রামত আয়োজন। খেতে খেতে শব্দ করবে না,
অসময়
---
উপাধ্যায় মশায়ের সারারাত উত্তেজনায় ঘুম এলো না। কলেজে পড়ায়। পলিটিকাল সায়েন্স পড়ায়। বিজ্ঞানচর্চার পাশাপাশি জ্যোতিষচর্চাতেও নামডাক আছে। রবিবার বিকেলে তো বাড়ি থিকথিক করে মানুষে। কত দূর দূর থেকে লোকজন আসে। উপাধ্যায় মশায়ের বাবা, শিবপ্রসাদ উপাধ্যায়ও ছিল খুব বড় জ্যোতিষী। পসার জমাতে বেশিদিন লাগেনি তাই রামপ্রসাদ উপাধ্যায়ের। রামপ্রসাদের বয়েস এখন বাহান্ন। নাতি-নাতনি নিয়ে ভরা সংসার। বড় ছেলে থাকে মেলবোর্নে। ওখানেই চাকরি। মেজ থাকে লক্ষ্মৌতে, গাড়ীতে এক-দেড় ঘন্টা লাগে। সেজ বারাণসীতে, শিবমন্দিরের পুজারী। ছোটোটা… মনে করতে চায় না, উচ্ছন্নে গেছে। বিয়েও করেছে এক মুসলিমকে। রামপ্রসাদ একরকম ত্যাজ্যপুত্রই করেছে তাকে। শুধু স্ত্রী রম্ভার জন্য মাঝে মাঝে আসতে দিতে হয়। তাও শুধু ছেলেকে, বউ সে বেঁচে থাকতে এ বাড়ির ছায়াও মাড়াবে না, হুকুম!
জয়দেব ও বর্ষা
জয়দেব ভিজছেন। আষাঢ়ের প্রথম বর্ষা। চারদিক ঝাপসা হয়ে আছে। জয়দেব স্থির দাঁড়িয়ে। হাতদুটো বুকের কাছে জড়ো করা। জয়দেব তাকিয়ে শ্রীমন্দিরের দিকে। পতাকাটা আষাঢ়ের সজল বাতাসের দাপটে যেন সব ছিন্ন করে উড়ে যেতে চাইছে। জয়দেবের বুকের মধ্যেও যেন এক অবস্থা। জয়দেবের চোখের জল বর্ষার জলের সঙ্গে মিশে একাকার। যেমন নীলাচলে গলছে আষাঢ়ের আকাশ।
ভ্যাক্সিনরূপেণ সংস্থিতা
প্রায়ই দেখছি নানা হাউজিং কমপ্লেক্সে বিভিন্ন সংস্থা থেকে ভ্যাক্সিনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই কাজটা আরেকটু বৃহৎ পরিসরে ভাবা যায় না?
ডাক্তার আঙ্কেল
কিছু থাকে আলগা মানুষ। সারাক্ষণ তাদের আলগা কথা, আলগা ভাব, আলগা ভালোবাসা, আলগা হাসি-মজা।
আবার কিছু মানুষ থাকে নোঙর ফেলা। তাদের কথা গভীর, ভাব গভীর। কথা শুনলে বুকে ঠং করে লাগে। ভালোবাসা হাঁটুজলেই শেষ হয়ে যায় না।