Skip to main content

বোকা কোথাকার!

ঘুঁটেগুলো তুলে নিয়ে ফিরতে যাবে, হঠাৎ গাছের উপর থেকে কেউ যেন বলল, দুটো দিয়ে যা না রে, ঠাণ্ডায় জমে যাচ্ছি, একটু আগুন জ্বেলে বসি।

  রমার ঠাকুমার তো দাঁত কপাটি লাগার জোগাড়। "রাম রাম" বলতে আবার দু পা এগিয়েছে, অমনি গাছ থেকে আবার সে বলল, রাম নামে পালাবো আমি অমন পাপী ভূত না রে, ভ্যাকেন্সি নেই উপরে তাই মাঝখানে রিজার্ভে আছি। বডি পেলেই ঢুকে যাব।

মানুষ কি তাই

সবাই এক এক সময় পালিয়ে যেতে চায়

জঙ্গলে, মরুভূমিতে, সমুদ্রের ধারে, পাহাড়ে      নিজের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে একা হতে চায়             সবাই তা সে চায়

আনুগত্য

সত্যের আনুগত্য শেখাবেন, না ব্যক্তির আনুগত্য শেখাবেন - এ সিদ্ধান্তটা কিন্তু আপনাকে আপনার সন্তানের ব্যাপারে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। 

               বাবাকে কি মাকে সন্তুষ্ট করতে পারলেই যদি সন্তানের সাত খুন মাফ হয়ে যায়, তবে আপনি যে ওর কি সর্বনাশ করছেন সে এখনই হয় তো স্পষ্ট বুঝতে পারবেন না, না তো সে নিজেও বুঝে উঠতে পারবে। 

যার মধ্যে ডুবে গিয়ে

যার মধ্যে ডুবে গিয়ে ঘুমে
নিশ্চিন্তে হারালে নিজেকে

সেও তুমি

ছোরি

ছোরি, আমাজন প্রাইমে বেশ কিছুদিন ধরে দেখছিলাম দিয়েছে। ইচ্ছা করছিল না দেখতে, ভূতের সিনেমা আর কি দেখব এখন। কদিন আগে মামু ফোন করে বলল, জানো মামু ছোরি দেখলাম। সে সদ্য ইলেভেনে উঠেছে, আমি ওই বয়সে নিজেকে নিয়ে গিয়ে বললাম, তবে তো তুই অনেক বড় হয়ে গেছিস, একা একা ভূতের সিনেমা দেখে ফেললি? আমি তো ভয়ে দেখতেই পারছি না।

     মামু বলল, হ্যাঁ ভয়ের আছে, তবে সিনেমাটা ঠিক ভয়ের বা ভূতের না, একটা সোশ্যাল মেসেজ আছে, দেখো।

পুরুষোত্তম আগরওয়াল ও জাভেদ আখতার

নতুন বাড়িতে একটা সমস্যা হল। জল ঢুকে বাড়ির দেওয়াল খারাপ করে দিল।
     বাড়ির মালিক বলল, ভাই এরকম তো হওয়ার কথা ছিল না।
     এখন ইঞ্জিনিয়ার বেশ চালাক মানুষ, সে হাজার একটা কারণ দেখিয়ে বলল, স্যার, এটা পসিবল, এটা অসম্ভব কিছু নয়, এটা তো হতেই পারে।

সেলাই তো পডবে, কিন্তু ক'টা?

ঘরটা খুব বড় না, খুব ছোটও না। একটা খাট। খাটে একজন বয়স্ক মানুষ আধশোয়া। জেগে আছেন। দৃষ্টি ছাদের দিকে। পাখাটা বন্ধ। সারাটা ঘর খুব গোছানো নয়, আবার আগোছালোও নয়। চারদিকে তাকিয়েই বোঝা যায় যে দীর্ঘদিন অসুস্থ মানুষটা। একজন মহিলা, পঞ্চাশের বেশিই বয়েস হবে, উনি কাপে কিছু একটা গুলছেন, ধোঁয়া উঠছে জল থেকে, মানে জলটা গরমই হবে। দেওয়াল ঘড়িটা দেখা যাচ্ছে, সকাল সাড়ে ন’টা। যিনি বিছানায় শুয়ে, ওর নাম অনন্ত; যিনি দাঁড়িয়ে, ওর নাম বিশাখা।

তাদেরও যাওয়ার কথা ছিল

"শুবি না? এই শালা, এদিকে আয়, এই... আরে এই... কাঁথাটা ফেললি কেন?"
     একটা ঘর। কাঠের পাতলা পাটাতনের দেওয়াল। শীতের হাওয়া, বর্ষার জল, কিছুই বাধা মানে না। ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে রেললাইন। ট্রেনের কাঁপুনিতে দেওয়ালে ঝোলানো আয়নায় সারাঘরের দুলুনি দেখা যায়।
     শীতের সন্ধ্যে। দুটো কাঁথার তলায় শুয়ে তিন চারটে রাস্তার কুকুর। প্রমাণ সাইজের কুকুর। ষাটোর্ধ মানুষটা একটা লুঙ্গি কোমরের কাছে জড়িয়ে, হাঁটু অবধি তুলে, মেঝেতে মদের বোতল নিয়ে বসে। ঘরে টিমটিম করছে হলুদ ডুমের আলো।

সানাই

সানাই তাকে পেয়ে হারিয়ে কাঁদে? না, তাকে না পাওয়ার যন্ত্রণায় কাঁদে?
     এ দ্বন্দ্ব আজও কাটিয়ে উঠতে পারেনি মনোরমা। যখনই সানাই বেজেছে, বুকে কান্না উঠেছে। কিন্তু কেন? কাকে সে চায়? সে মুখটা স্পষ্ট নয়। বিয়াল্লিশ বছর আগে যখন পুরোহিত মন্ত্র পড়ছিল, চারদিক হুল্লোড়, সানাই বাজছিল মনোরমাকে কাঁদিয়ে একা একা, গোপনে। মনোরমা নিজেকে জিজ্ঞাসা করেছে, কে সে? কার জন্য এমন বুক হাহাকার কান্না তার?
      মন উত্তর দেয়নি স্পষ্ট করে। শুধু বলেছে, এ সে নয়, যার হাতের উপর হাত, এ নয় সে।
Subscribe to