Skip to main content

উপমা


এখনো জীবন বিজ্ঞান বইগুলোতে লেখা থাকে, মাছের দেহ কেমন? না, মাকুর মত।
বোঝো, এ যুগের কটা ছেলেমেয়ে মাকু দেখেছে, যে চিনবে। তখন বাধ্য হয়ে বলতে হয়, মাকু ওই মাছের দেহের মতই আর কি। 

নাও, কে কার উপমা হয়!

বিশ্বাস


বিশ্বাস করেছি, ঠকেছি। ফের বিশ্বাস করেছি, আবার ঠকেছি। কারণ -কখনো আমার নির্বুদ্ধিতা অথবা কখনো অন্যের সুনিপুণ অভিনয় ক্ষমতা। 

সন্দেহ করে কি হবে? কাকে, কখন, কোন ক্ষেত্রে, কতটা সন্দেহ করতে হবে - এ কি খুব সহজ হিসাব? আর সব হিসাব মিললও বা যদি, তাও যে ঠকব না তার কি নিশ্চয়তা আছে? 

অনেকবার শূন্য থেকে শুরু করতে হয়েছে। ভবিষ্যতেও হবে। 

দৃষ্টি

ঘুরে ফিরি
    তোমার মুখের দিকে চাই
তুমিও চাও
বুঝি, তুমি চেয়েই থাকো -
তা জেনে
    প্রাণে নিবিড় শান্তি খুঁজে পাই।

আবার ফিরি সংসারেতে
আবার কাজে জড়াই
ভয় নেই তো
পড়ি যদি, ধরবে তো গো-
তোমার দু'হাত বই 
    আমার, আর যে কিছু নাই।

ফিরো না আমার সাথে


আমার সাথে ফিরো না
কি হবে হেঁটে?
আমি তো বাজারে যাব না।
আমার কেনার মত কিছু নেই,
পাওয়ার মত একটা কিছু আছে অবশ্য,
                          নিজেকে।

আলো জ্বালো


শুধু বাইরে না,
হারায় মানুষ ভিতরেও।

খুঁজবে কি করে?
সে ভাবেই খোঁজো,
যে ভাবে খোঁজো বাইরে,
আলো জ্বেলে।

আলো জ্বালবে কি করে?
বিশ্বাসে।

যুক্তির নুড়ি
বিশ্বাসের আকাশকে ছোঁয় না।

হাত


হাতটা ছেড়ে দাও,
হয়তো হাতটা ধরতে গিয়ে
অজান্তেই বেঁধে ফেলেছো,
                হাতের চাপে।

এবার ছেড়ে দাও,
হাতের স্পর্শের সুখ
হাতের মোচড় হওয়ার 
             দুঃস্বপ্নের আগে।

PTO


প্রতিটা সমস্যার নীচে
ছোট্ট করে লিখে রাখি
                   PTO
প্রতিটা ভালো মুহুর্তের নীচে
বড় করে লিখে রাখি
                   PTO
পাতা উল্টে চলি,

ক্ষোভ


ক্ষোভ এই জন্য না, যে পাইনি
পেয়েছি যোগ্যতার চেয়ে অনেক বেশি।

ক্ষোভ এই জন্য যে, দিতে পারিনি
                 যতটা দিতে চেয়েছিলাম।
আমার ছোট হাতে যতটুকু কুলিয়েছে
তা তোমার মান রাখেনি 
ছুঁতে পারেনি তোমার তৃপ্তির সব চাইতে নীচের রেখাটাও।

গ্রীল

ঘুম থেকে উঠে রোজ গ্রীলের পাশে আসেন।
ভোরের আকাশ তখন সূর্যোদয়ের অভ্যর্থনায় ব্যস্ত।
তিনি মনে মনে বলেন, আমিও আছি।

অবশেষে

অবশেষে রোদ উঠল
সূর্যকিরণ ভরা মাঠের জলে
সাঁতরে এসে ঘাসকে ছুঁলো

Subscribe to