Skip to main content

মাটিকুমড়ো

ভোর ছ'টা এগারোতে ট্রেন। রাণাঘাট লোকাল, হালিশহরে। উঠলাম। ফাঁকাই বলা চলে।
বেশ ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা লাগছে। সিটে বসলাম না। আরে বাবা রাতদিন বাড়ির ভিতর বসেই তো আছি, আর কতদিন বসে থাকা যায়!

গন্তব্য, বারাণসী

এত ম্লান হাওড়া স্টেশান দেখব ভাবিনি কোনোদিন। হুইলারের স্টলে ঝুলছে ঝুল। একটা খবরের কাগজ পেলাম না। সব বইয়ের দোকান বন্ধ। শনিবার ছ'টা। আমাদের ট্রেন সাতটা পনেরোয়। অমৃতসর মেল। গন্তব্য, বারাণসী। কারণ, কিছুটা ব্যক্তিগত কাজ, আর কিছুটা প্রিয় শহরটার খোঁজ নিতে। ...

আমার সুন্দরবন ভ্রমণ

তো ট্রেনে তো বেজায় ভিড়। ওদিকে অমিতাভ স্যার গুরুগম্ভীর গলায় বারবার বলে চলেছেন দূরত্ব বজায় রাখার জন্য। কিন্তু দূরত্ব বজায় রাখা কি অমনি বললেই রাখা যায় স্যার? চলেছি সুন্দরবন।

    কেন যাচ্ছি? কারণ একটাই, এক বছর হল বেড়ানো হল না। মনে মরচে পড়েছে। বাচ্চাগুলো অস্থির হয়ে যাচ্ছে। বলি করোনা কি তাদের পৃথিবীটা সত্যিই চার দেওয়ালে বন্দী করে দেবে?

এটাই রীতি

পাখিরালয়ের ভেতরের দিকে এক গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা হচ্ছে। মাটির বাড়ি। সামনে কয়েকটা ছাগল চরে বেড়াচ্ছে। মানুষটার বয়েস আন্দাজ ষাটের উপর। একটা চেক চেক লুঙ্গি পরা, ফুলহাতা সোয়েটারের উপর একটা চাদর জড়ানো গায়ে। মাথায় উলের টুপি। হাতে বোনা মনে হল। সবগুলোর অবস্থাই জীর্ণ।

মাটির গুলি

রোগা ছিপছিপে শরীর। প্যান্ট আর জামা অতিব্যবহারের সীমারেখা পেরিয়ে গেছে। বয়েস দেখে মনে হবে সদ্য হয় তো পঞ্চাশ পেরিয়েছে। মুখে শুনলাম, বয়েস তেষট্টি। "আমি এই তেষট্টি বছর এই মাঠে আসছি... এমন সাপ দেখিনি আগে।"

গঙ্গার ধারে

গঙ্গার ধারে যখন পৌঁছালাম তখন আকাশের ব্রাইটনেস কমার মুখে, চার্জ ফুরিয়ে আসছে সূর্যের। বাইকের পেছনে বসে যেতে যেতে নাকে আসছে চারদিকে পাট পচানোর গন্ধ – দুর্গন্ধ।
...

নাতুয়া ধূপগুড়ি

    রান্নাঘরে ধোঁয়া উড়ছে। ধোঁয়াটা দরজা দিয়ে বেরিয়ে নাতুয়ার সকালের বাতাসে মিশছে। সখ্যতা তৈরি হচ্ছে। নাতুয়া ধূপগুড়ি থেকে বেশ কিছুটা গিয়ে চা-বাগান ঘেরা ছিমছাম একটা গ্রাম। অল্প অল্প ঠাণ্ডা বাতাস আসছে নদীর দিক থেকে। খরস্রোতা সরু একটা নদী কয়েক পা এগোলেই।
...

আগ্রা-দিল্লী-হরিদ্বার-হৃষীকেশ

পুরীর সমুদ্র প্রথম দেখে বুকের ভিতরটা 'ধক্' করে উঠেছিল। আজ বহুদিন পর সেই স্মৃতিটা উসকে উঠল তাজমহলের সামনে দাঁড়িয়ে। আমি এই মুহূর্তে তাজমহলের সামনেই বসে। নীল সমুদ্রে একটা সাদা পালকের মত ভেসে আছে। মানুষের নিজের সৃষ্টির যে কয়েকটা গর্ব আছে অবশ্যই তার মধ্যে এক অতুলনীয় সৃষ্টি। যার অনুপ্রেরণা ভালোবাসা।

যশিডি-মুরাডি

আসলে কি দেখতে চাই? নদী, পাহাড়, জঙ্গলে কেন শুধু শুধু ঘুরে মরা? কি দেখতে চাই, মুগ্ধ হতে চাই কি? না, আসলে শুনতে চাই। নিজের ভিতরের কথা নির্জনে, নিঃশব্দে, নিজের চারদিকে একটু নিরিবিলি গড়ে। তাই কাজের ফাঁকে ফাঁকে বেরিয়ে পড়া। কাজ – এটা এমন একটা মস্ত বড় শব্দ, ওর মোহ যেমন, ওজনও কিছু কম নয়।
...

ধুপগুড়ি

গ্রামের পাশে সেই নদী


--

Subscribe to ভ্রমণ