নানক
তারা বলল, বৃষ্টি হচ্ছে না তো অনেকদিন। আমরা চাষ করতে পারছি না। তাই আমরা ঈশ্বরের আরাধনায় যাচ্ছি বৃষ্টির জন্য।
নানক শুনে বললেন, বেশ, তোমরা দাঁড়াও, আমিও যাব।
...
কাজের মানুষ
এই যেমন ধর্ম দিয়েই শুরু করা যাক। এই যে এত এত অবতার, গুরু, মন্দির ইত্যাদিকে অনেকে আমরা প্রাণের সঙ্গে জুড়িয়ে রাখি, নাস্তিকেরা আবার যেমন নানা রাজনৈতিক দার্শনিক, নেতাদের ফটোতে মালা দিয়ে প্রায়ই ভালোবাসা জানান, এতে দোষের কিছু আছে?
...
কন্ট্রোল কাউকে দিও না
দেখো, তোমরা শুনেছ যে মানুষ সিগারেট, মদ, গাঁজা এরকম নানা নেশা করে। তোমরা জানো এগুলো বাইরে থেকে মানুষ কিনে বা জোগাড় করে নিজের নেশার ইচ্ছাকে তৃপ্ত করে। এখন একটু ভেবে দেখো তো, নেশা আর অভ্যাসের মধ্যে ঠিক পার্থক্যটা কি? নেশার জিনিসটা আমার উপরে তার কন্ট্রোলিং পাওয়ার পেয়ে বসে। এটাই হল সব চাইতে খারাপ দিক নেশার। বাকি শরীরের উপর কি প্রতিক্রিয়া সেই নিয়ে আমার এখানে আলোচনা করার দরকার নেই। আমার কথা হল যে সেটা তোমার উপর তার কন্ট্রোলিং পাওয়ারটা পেয়ে বসে। তুমি সম্পূর্ণ তার কন্ট্রোলে চলে যাও।
...
মান আর হুঁশ
এ কথাটা এক স্বাধীনচেতা মানুষের। যে ভালোবাসার দান নেয়। যে ন্যায্য উপার্জন নেয়, কিন্তু নিজের সুবিধার জন্য কারোর কাছে নিজেকে বিকিয়ে দিতে রাজী নয়।
....
ইচ্ছা
সেই তো ভাঙছে, সেই তো গড়ছে,
সেই তো দিচ্ছে নিচ্ছে।।
সেই তো আঘাত করছে তলায়, সেই তো বাঁধন ছিঁড়ে পালায়–
বাঁধন পরতে সেই তো আবার ফিরছে।।
~ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
....
সেন্টিমেন্ট
দেখুন, আমরা আপনাকে প্যানিক করার কারণ দেব। কিন্তু আপনি প্যানিক করতে পারবেন না। আমরা আপনাকে ঘৃণা, রাগ, বিদ্বেষ - এগুলোর খবর জানাব। আপনি স্থিতপ্রজ্ঞের মত থাকবেন। যদি না পারেন, আপনি কি করে কি করে স্থিতপ্রজ্ঞ থাকবেন সেও নানা টিপসের মাধ্যমে জানাব। আপনি শুধু আমাদের কিনুন। আমাদের দেখুন।
অসতো মা সদ্গময়
সত্য বহুমাত্রিক। জৈন তীর্থঙ্কর বললেন, সত্য অন্ধদের হস্তী স্পর্শনের মতন। কেউ লেজ ধরে বলবে, সরু। কেউ পা ধরে বলবে থামের মত। কেউ পেট ধরে বলবে, মোটা। এই উদাহরণটি পরে শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছেন।
ম্যারিনেটিং ফেজ
শান্তিই পথ
মহানামব্রত ব্রহ্মচারী বলতেন, রিলিজিয়ন ইজ ফর জেন্টলম্যান। এ কথাটা ওঁর বক্তৃতায়, ভাষণে, লেখায় বারবার ঘুরে ফিরে আসত। রিলিজিয়ন ইজ ফর জেন্টলম্যান। বলতেন আগে ভদ্র হও, মার্জিত হও, সুসংস্কৃত হও, তারপর এসো ধর্মে। তবে ধর্মের মর্ম বুঝতে পারবে।
হয়ে ওঠা
মানুষের সঙ্কীর্ণতার বিশ্বে কোথাও কোনোদিন পাকাপাকি জায়গা হয় না, এটা মানুষ বুঝতে কতদিন সময় নেয় কে জানে। এটা বুঝে গেলেই যে কত ঝক্কি, কত চালাকি আপনি খসে পড়ে, সে যদি আগে জানতে পারে তবে সংসারে রাতদিন সে নিজের পায়ে নিজে এভাবে কুড়ুল মেরে চলতে পারে না।