Skip to main content

বোকা নকল সুপারম্যান


সবাই চায় তার জীবনে একজন সুপারম্যান আসুক, যে তার পাশে দাঁড়িয়ে তার সব সমস্যার সমাধান করে দেবে।

মেয়েদের মত করে হাঁটিস না

মেয়েদের মত করে হাঁটিস না… মেয়েদের মত করে কথা বলিস না… মেয়েটার কেমন মদ্দা মদ্দা ভাব… ওরকম হিজড়েদের মত হাততালি দিস না…

ওগো নিঠুর দরদী

ওগো নিঠুর দরদী.. অতুলপ্রসাদ লিখলেন। এই নিঠুরতা কে অনুভব করে? যে কেউ? না, যে ভালোবাসে।
ভালোবাসার ব্যথা অনেক। না ভালোবাসার ব্যথা নেই। ভালোবাসার ব্যথা মাটির গন্ধের মত। সে যেমন থেকেও নেই। কিন্তু যেই না বৃষ্টির জল এসে পড়ল, সে জেগে গেল, এও তেমন।

ধর্মবোধ

ধর্মবোধকে জাগিয়ে তোলা, আর ধর্মবিশ্বাসকে উস্কানি দেওয়ার মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য। প্রথম কাজটা
করেন কোনো আলোকপ্রাপ্ত পুরুষ; দ্বিতীয় কাজটা করেন সাধারণত কোনো উদ্দেশ্যদ্বারা চালিত মানুষ। সে উদ্দেশ্য রাজনীতি হতে পারে, জীবিকা হ
তে পারে, আরো কোনো গূঢ় স্বার্থ বা উদ্দেশ্য হতে পারে। ...

বোকা হওয়া দোষের কিছু নয়

বোকা হওয়া দোষের কিছু নয়। সমস্যার। যখনই বুঝতে পারবেন বোকা হয়ে গেছেন, নিজের কোনো খামতির জন্য বা অন্যের চালাকির জন্য, অনুতপ্ত হবেন না বা ক্ষুব্ধ হবেন না। স্বাভাবিক ঘটনায় ক্ষুব্ধ হওয়াটা অপ্রত্যাশিত বোকামি। যেই না বোঝা গেল, বোকা হলাম, তখনই দেখতে হবে বোকা হওয়ার জন্য যে ক্ষতিটা হল সেটাকে কি করে সামাল দেওয়া যায়।

অভিমান দুর্বলের রাগ

অভিমান দুর্বলের রাগ। সে যতই কাব্যিই অভিমান নিয়ে হোক না কেন, আদতে যে দুর্বল, অভিমান তারই
হয়। যে নিজেকে ভাবে অশক্ত, অক্ষম তারই অভিমান হয়। সে নিজেকে উপেক্ষিত, বঞ্চিত ইত্যাদি নানা
কিছু ভেবে ভেবে রোষানলে পুড়ে মরে। কিন্তু কাজের কাজ কি কিছু হয়? হয় না।

কিছু মোহ

কিছু মোহ মানুষ বড় হলেও ছাড়তে পারে না। তার মধ্যে একটা, ভয়ের প্রতি মোহ।
ছোটোবেলা থেকে বাবা-মা, শিক্ষক, গুরুগম্ভীর আত্মীয়,পাড়ার দাদা-জেঠু-কাকা, নানা দেবদেবী প্রমুখদের ভয় পেতে পেতে, ভয়ের উপর একটা দুর্বলতা জন্মে যায়।
সে ভয় পেতে চায়, ভয় দেখাতে চায়, ভয় নিয়ে ব্যবসা করতে চায়। যে কোনোভাবেই হোক ভয়ের নাগাল পেরিয়ে বাঁচতে চায় না। ভয়ও তাই ছাড়তে চায় না।...

আনুগত্য

সত্যের আনুগত্য শেখাবেন, না ব্যক্তির আনুগত্য শেখাবেন - এ সিদ্ধান্তটা কিন্তু আপনাকে আপনার সন্তানের ব্যাপারে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। 

               বাবাকে কি মাকে সন্তুষ্ট করতে পারলেই যদি সন্তানের সাত খুন মাফ হয়ে যায়, তবে আপনি যে ওর কি সর্বনাশ করছেন সে এখনই হয় তো স্পষ্ট বুঝতে পারবেন না, না তো সে নিজেও বুঝে উঠতে পারবে। 

বাচ্চা হচ্ছে না কেন?

এই তোদের এতদিন হল বাচ্চা হচ্ছে না কেন রে? দেখ ওদের তো তোদের পরে বিয়ে হল, তা-ই হয়ে গেল, তোদের?

            প্রশ্নটা স্বাভাবিক। কারণ আমাদের সমাজে সীমারেখার বোধটা খুব অস্পষ্ট। কোন প্রশ্ন করতে হয় আর কোন প্রশ্ন করাটা অস্বাভাবিক, সেটার বোধ আমাদের খুব একটা স্পষ্ট নয়। আমার কি জানার অধিকার নেই? নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু কৌতুহলের অধিকার নেই।
...
Subscribe to প্রবন্ধ