Skip to main content

কামড়

রাস্তায় জল জমেছে। এতটা জল যে সাইকেলের অর্ধেক টায়ার জলের নীচে চলে যাচ্ছে।

      অনুপের নতুন সাইকেল। চেনটা শক্ত। টান লাগছে। কিন্তু ভালো লাগছে। সব মিলিয়ে ভালো লাগাটাকে ভয়ও লাগছে। একটু পরেই সন্ধ্যে। বিদিশা কই তখন?

মাটির গুলি

রোগা ছিপছিপে শরীর। প্যান্ট আর জামা অতিব্যবহারের সীমারেখা পেরিয়ে গেছে। বয়েস দেখে মনে হবে সদ্য হয় তো পঞ্চাশ পেরিয়েছে। মুখে শুনলাম, বয়েস তেষট্টি। "আমি এই তেষট্টি বছর এই মাঠে আসছি... এমন সাপ দেখিনি আগে।"

বুবুন আর খোলা ফ্রিজ

বুবুন ওই জন্যেই তো রাত্রে ফ্রিজ খোলে না। কতবার বাবাকে, মাকে, রান্নার পিসিকে, বন্ধুদের বলতে চেয়েছে, কেউ বিশ্বাস করেনি। ভাবে ফোরে পড়ে, তাই বানিয়ে বানিয়ে মিছিমিছি বলে।

সেই চোখ দেখব বলে

সন্ধ্যাবেলায় একটা নৈর্ব্যক্তিক শুষ্কতা ঘিরে থাকে। হাস্পাতালের বাইরে পুকুরটার দিকে তাকিয়ে আমার সারাদিনের হিসাব। পুকুরের জলের রঙ এত বদলে বদলে যায় আগে জানতাম কই?

কানাভাঙা বেঞ্চ

পকাদা একজন সমাজ সচেতন নাগরিক। সমাজ নিয়ে প্রচুর ভাবনা। মাঝে মাঝে পকাদা বলে, "আমি যা যা ভেবেছি বিশু, লিখলে রবীন্দ্রনাথকেও হার মানাত।"

    আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তা লিখলে না কেন গো?

টিনের কৌটো

পাখিটা উড়ে গিয়ে পুকুরপাড়ের গাছটায় বসল। সন্ধ্যে হব হব। বকের সারি ধানক্ষেতের উপর দিয়ে উড়ে গেল। একটু একটু শীত শীত করছে। এদিকটা এত ফাঁকা ফাঁকা। শেয়াল ডাকতে শুরু করল। এ সব শুনব বলেই তো গ্রামে আসা। তবে এবারের অ্যাডভেঞ্চারটা অন্য। আমার পিসেমশায়ের বন্ধুর ছেলে তারকদার সঙ্গে এসেছি। তারকদা কলেজ অবধি পড়েছে। অ্যাকাউন্টেন্সি অনার্স ছিল। খুব মিশুকে। আহেরিটোলায় আমাদের বাড়িও গিয়ে থেকে

একগ্লাস জল

- আজ বহুদিন পর একগ্লাস জল খেলাম

- পুরো গ্লাস?!!

ভুল পরিণতি

যেই প্রশ্ন করল, অমনি সব ধাঁ।

      একটাও ভুত নেই! অথচ দোষের মধ্যে সে কি জিজ্ঞাসা করেছিল, হ্যাঁ গা, তোমাদের চোঁয়া ঢেকুর ওঠে?

পায়ের ছাপ

"আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচো। বাকি যা সে পরে ভাবা যাবে।"
 
        মাষ্টার বাসে উঠে গেল। ছেলেটা রাস্তায় ধুলো উড়িয়ে চলে যাওয়া বাসটার দিকে তাকিয়ে প্রথম যে কথাটা ভাবল, স্যারের সঙ্গে আর দেখা হবে না।
 
        দেখা সত্যিই আর হল না। উনি অন্য স্কুলে হেডমাস্টার হয়ে চলে গেলেন।
 
        অনেকদিন পরে ছেলেটা আবার গ্রামে ফিরল। একা। তার পরিবার মুম্বাইতে থাকে। তার গ্রামের এমন কিছু পরিবর্তন হয়নি। শুধু রাস্তাগুলো কালো পিচে ঢাকা সাপের মত শুয়ে। ধুলো ওড়ে না আর আগের মত।

শর্তাবলী প্রযোজ্য

পকাদা ঘুমের মধ্যেই নাকে একটা বোঁটকা গন্ধ পেল। লঞ্চটা অল্প অল্প দুলছে, ঘুমটা দারুণ হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ গন্ধ কোত্থেকে এলো? পকাদার চোখ খুলে মনে হল সামনের বেডে কেউ একটা শুয়ে। চশমাটা চোখে দিয়েই আঁতকে উঠল পকাদা, একটা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার তার মুখের দিকে তাকিয়ে বসে আছে। পকাদা'র দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলল, গুড মর্নিং।

Subscribe to অনুগল্প