Skip to main content

সুড়ঙ্গ

লোকটা দরজা বানাতে চায়নি
   শুধু কয়েকটা সুড়ঙ্গ বানিয়েছিল

স্ব-ভাব

অতএব ফিরতে হল
কিছু ভুল কেন যেন শোধরানোই যায় না
আসলে তো ওরা ভুল নয়
        স্বভাব। স্ব-ভাব। 
তাই হোক। না হয় বারবার ফিরি।
    ভাবের ঘরে চোর না ঢুকুক।

জাল

দাঁড় বাইতে বাইতে লোকটা পাড়ের দিকে তাকিয়ে ছিল
তার ছোট্টো কুঁড়েঘরটা মিলিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাচ্ছে....ক্রমশ একটা বিন্দুর মত হয়ে যাচ্ছে...মিলিয়ে গেল...

কে?

মাথার মধ্যে যারা ঘোরে
যারা ঘুরতে ঘুরতে কথা বলে
এক একটা সাম্রাজ্য তৈরি করে
  আবার ভেঙে ফেলে, 
      তারা কারা?

তাই?

কথা দিল?
না গারদ বানিয়ে গেল?

প্রেম জন্ম নিল?
না বনসাই বানানোর টব-মাটি দিয়ে গেল?

জীবনের অর্থ মিলে গেল?
না চাঁদ-তারা স্টীকার ছাদেই চিপকে গেল?

সাজঘর

মাথার ভিতর ড্রেসিংরুম
    সাজঘর
যারা সেজেগুজে বেরোয়
তারা রাতের অন্ধকারে গা ঢাকা দিয়ে বাড়ি ফেরে
অনেক রাত অবধি রঙ তুলে 
  পাশের মানুষ খোঁজে হাতড়িয়ে

একাকার

মাঝে মাঝে গন্তব্য আসার আগেই নেমে পড়ি,
মাঝপথে।

তারপর হাঁটতে হাঁটতে ভাবি, গন্তব্য কে ঠিক করেছিল? 
   আমি না ভবিতব্য?

জেদ চেপে যায়। দুজনের কথাই মানব না।

গুরুগাঁও

আসলে তো বর্বরতা কোনোদিন যায় না। যাবেও না। 
কবি তাও কোনো এক কাল্পনিক রক্ষাকর্তাকে পেয়েছিলেন ধৃতরাষ্ট্রের সভায়
আজ জন্মালে সে কল্পনাও হত কল্পনাতীত

ডুবলেই হল

আমার বাগানে যে জবা, টগর, নয়নতারা ফোটে
তারা নতুন কোনো ফুল নয়
নতুন করে ফুটেছে মাত্র

তাই বলতে চাইছিলাম, 
নতুন কিছু অনুভব করিনি
নতুন করে অনুভব করছি শুধু

Subscribe to কবিতা