Skip to main content

কে বলবে?

পর্দাটা উড়ছে
লোকটা পিছন ফিরে
তার বোধের অস্তিত্বের বাইরে উড়ছে

তাই বুঝছে না, 
 জানলাটা বাইরের আলোয় চোখ মেলেছে

ছেলেটা একটা নুড়ি ছুঁড়ল পুকুরে
টুপ্ করে ডুবে গেল জলকে চমকে

আমি

আমাকে এত স্থির, এত নির্দিষ্ট কিছু বোলো না
আমার ভয় করে
আমি নিজে তো কিছু স্থির নির্দিষ্ট নই
এক বিন্দু জলের মত 
মেঘ পিছলে আকাশ থেকে পড়ছি
   পড়ছি পড়ছি পড়ছি
আমার কোনো আকার নেই গন্তব্য নেই

যদি বিশ্বাস করো

তুমি জানো না
আমাতে তোমার অনুভব, আর-
আমার বেছে আনা শব্দগুলোর মাঝে কতটা ব্যবধান

আমি পরিমাপ তো জানি না
শুধু জানি
ঝিনুকের বুকে বসা মুক্তো
   সমুদ্রের গভীরতা নিয়ে মাথা ঘামায় না

গুণমুগ্ধ

"ভীষণ সুন্দর গাইলেন, কি তান! কি মীড়ের মূর্ছনা!"

গায়ক প্রফুল্ল হলেন। গর্বিত দৃষ্টিতে চাইলেন প্রশংসকের দিকে।

বুঝুন

একটু দাঁড়ান। মিছিলটা পার হোক।
ওদের খিদের দাম আপনার সময়ের দামের থেকে বেশি

হ্যাঁ তো

চাঁদের দিকে তাকালাম

বিজ্ঞানী বললেন, ওটা আসলে সূর্যের আলো

বললাম, সত্যি বটে।

জ্যোৎস্নাস্নাত সামনের বাগানের দিকে তাকালাম

জ্ঞানী বললেন, সব মিথ্যা, মায়া, ক্ষণস্থায়ী

বললাম, তাই তো।

কিছু কবিতা

কিছু কবিতা পড়েছিলাম
      আজ সে সব গেছি ভুলে

কিছু কবিতা শুনিয়েছিল কেউ
     হয়ত খাপছাড়া আছে মনে

পরিধি

কেন্দ্রে নয় তো
পার্থক্যটা হয় পরিধিতে
ক'টা বৃত্তের পরিধি ছুঁয়ে গেল?
ক'টা বৃত্তের পরিধি ছুঁয়ে এলে?
অবশেষে কেন্দ্রটা যায় মিলিয়ে
পরিধিটা যায় রেখে
যুগ-যুগান্ত ধরে সে পরিধি মিলিয়ে চলে

অভিসার

প্রেম সন্ধ্যাকাশে চিঠি পাঠিয়েছিল
                         নিঃশব্দে

হওয়া - রওয়া

লতানে গাছটা বটগাছটাকে জড়িয়ে উঠছিলো

  তা উঠছিলো তো উঠছিলো,
        ক্ষতি ছিল না তো কোনো!

হঠাৎ বেশ কিছুটা ওঠার পর
   লতানো গাছের সাধ হল

Subscribe to কবিতা