বদলায় তো সবাই
কাউকে বদলায় সময়
কেউ বদলায় নিজেকে, সময়ের আগে
মেয়েটাকে দেখলাম অনেকদিন পর
চোখে যে দুটো কালোদীঘি ছিল
শুকিয়ে ফেলেছে। এখন আগুন।
চলনে আগে দ্বিধা ছিল, ব্রীড়া ছিল,
এখন দৃঢ় স্থির সলক্ষ্য পদক্ষেপ।
সিঁথিতে সিঁদুর ছিল। কোর্টে রেখে এসেছে।
ভাত মাখত যখন
হাতদুটো পদ্মকলির মত লাবণ্যময় হয়ে উঠত
সলজ্জভাবে মাথা নীচু করে গ্রাস নিত,
যেন নিজের বাঁচোখ না তাকায় ডান চোখের দিকে!
এখন তার কাঁটা চামচের আওয়াজ
চিবানোর সাথে প্রতিটা গ্রাসের স্বাদ বুঝে নেওয়া।
আলোচনায় ছেদ না পড়া
গলাধঃকরণের ফাঁকে কঠিন শব্দ উচ্চারণ।
যে শরীরটা আবৃত থাকত টাঙ্গাইল, জামদানী, তাঁত, সম্বলপুরীতে
সে শরীরের হাতদুটো বাহুমূল থেকে উন্মুক্ত আলোতে
জিন্সের প্যান্টের নীচে হাল ফ্যাশানের চটি
বেমানান নাতো!
ওর কথা শুনতে শুনতে আমি 'আসল' কথাটার অপেক্ষায় থাকছিলাম
কষ্টের কথা, যন্ত্রণার কথা, স্বপ্নভঙ্গের কথা
বলল না। বলল, "আমি এই বেশ ভালো আছি বুঝলে, এই ভালো"।
"ভালো" শব্দটা বড্ড ভালো। আমারও ভালো লাগল। কাঁটাটা ঢেকে গেল ঘাসে। নরম সবুজ খোলা আলোয় জন্মানো ঘাসে।
জ্বলন্ত তুবড়ির আলোকোচ্ছ্বাসই লোকে দেখে
পরের দিন সকালে সে ফুরানো তুবড়ির বুকে জমে ভোরের শিশির।
সেটা তো ব্যক্তিগত। থাক অনুচ্চারিত।