খড়কুটো
নীড়ের খড়কুটো
তা জোগাড় করতে
হিমালয় যেতে হয় না, সত্য
প্রশান্ত মহাসাগর কিম্বা থর মরভূমিতেও না, সত্য।
তবু, এত দরকারি, মূল্যবানের ভিড়ে
কয়েকটা খড়কুটো জোগাড় করাও
খুব সহজ কাজ কি গো?
যারা শুনতে পায়নি
‘ঈর্ষারা সুরক্ষিত হোক’
মন্দিরের দরজায় দাঁড়িয়ে
এমন একটা প্রার্থনা করার সময়
লোকটা হঠাৎ করে কেঁদে উঠেছিল
একটা দমকা হাওয়ায়
রোদে পোড়া ঝরে পড়া পাতাগুলো
ডাঁই করা রাস্তার ধারে
দশদিক থেকে বাতাস পোড়া পাতার গন্ধ নিয়ে খেলছে দামাল ছেলের মত
সূর্যাস্তের আয়োজন হচ্ছে পশ্চিম আকাশে
সিঁদুর রঙ লেপে
ওগো আদিকবি
কেউ কেউ তবে কাব্য বোঝে?
তোমার রচিত বিশ্বরাজ যে
কোন ভক্তের কি মোহ ঘোরে
আজ সে মাটির আসন খোঁজে?
বল্মিক যত বল্মিক আজ
ধুলোয় ধুলোয় ওড়ে
ওগো আদিকবি,
শানিত অস্ত্র, হুংকার কেন
পূজা স্তবমালা ঘিরে?
পরকীয়া ঘোল
ওরে কে যেন হইল ভ্রষ্ট?
চারদিকে উঠিল শোরগোল
দিকে দিকে ফিরিল নীতিবাগীশ
মুখেতে শাস্ত্রের বুলি, হট্টগোল
শ্লেষ, তির্যক দিঠি, ক্লেদের বন্যা
মাখো মাখো সবে,
আজিকে পাঁকের দোল
আমি তো...
আমি ঘুমন্ত অবস্থায় চলতে পারি না
আমি ঘুমন্ত অবস্থায় কথা বলতে পারি না
আমি ঘুমন্ত অবস্থায় সিদ্ধান্ত নিতে পারি না
অবাক হয়ে দেখছি তোমরা কি অনায়াসে পারো
গালিবও সাক্ষী
যুদ্ধ আর প্রেম
আমন্ত্রণের সৌজন্যের অপেক্ষা রাখে না
শতাব্দী সাক্ষী
পার্থক্য শুধু -
ধ্বংস করার
আর ধ্বংস হওয়ার সুখে
অন্যরকম
অন্য কোনো একটা হাওয়া এসেছিল
অন্য কোনো দিক থেকেই এসেছিল
কিছু একটা বলতে চেয়ে
সব কিছুকে অন্যরকম করে
ভ্রুকুটিতে বড় নিষ্ঠুর হেসেছিল
তোমারও
তোমার পায়ের তলায় ধুলো ছিল
আমারও পায়ের নীচে ধুলো
তোমার মাথার উপর আকাশ ছিল
আমারও মাথার উপর আকাশ
তোমার আশেপাশে ছিল মানুষজন
আমারও চারপাশে আছে
শুধু তোমার একদিনে ছিল
অনেকগুলো দিন
আমার একদিনও যেন অর্ধেক
ওরা তিনজন
গন্তব্য নেই আর গন্তব্য হারিয়েছে - এমন দুজন রেল স্টেশানে দাঁড়িয়েছিল
যার গন্তব্য আছে, তার ব্যস্ততা দেখে
যার গন্তব্য নেই মৃদু হেসেছিল
যার গন্তব্য হারিয়েছে লজ্জা পেয়েছিল
সিগন্যাল হল
লাইন জোড়া হল
ইঞ্জিনের ধোঁয়া দেখা গেল
ট্রেনটা এলো না