কালবৈশাখী
উদভ্রান্তের মত অনেকটা রাস্তা ছোটা হয়ে গেছে
ততটা কাছাকাছি পৌঁছানো যায়নি যদিও
চোরাবালিতে বেশ খানিকটা ডুবে আটকে।
আকাশটা পুরোপুরি বিদায় জানাতে না পেরে মাথার উপর থমকে দাঁড়িয়ে আছে।
কি জানি
কেউ কেউ আমায়
ডানদিকের গলিতে আসতে বলে
বাঁ দিকের গলিতে সরে যায়।
আমি দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে
এদিক ওদিক তাকাতে তাকাতে
তাকে বাঁদিকের গলিতে
পাই, আচমকাই।
লজ্জায় চোখ নামাই,
কি জানি সে ইচ্ছা করে ভুল বলেছিল
নাকি আমি ভুল করে ভুল শুনেছিলাম?
ভাল ও খারাপ
এমনটা অনেকবার হয়েছে। কোনো একজনকে খুব খারাপ ভেবে তাকে আমার বাগানে খুব চোখে চোখে রেখেছি। যেই না চোখের আড়াল করেছি, অমনি সে হয়তো গাছের একটা ডাল মট করে ভেঙে দিয়ে পালাল। আমি ভেবেছিলাম সে হয়তো সুযোগ পেলেই সব গাছগুলো উপড়ে ফেলবে বা বাগানে গরু ঢুকিয়ে সব নষ্ট করবে। তা না, শুধু একটা ডাল!
দেখেছি
আমি রাগী মানুষ দেখেছি
আমি কামুক মানুষ দেখেছি
আমি লোভী মানুষ দেখেছি
আমি ঈর্ষাপরায়ন মানুষ দেখেছি
আমি ঠগ মানুষ দেখেছি
আমি শঠ মানুষ দেখেছি
আমি খুনি মানুষ দেখেছি
আমি ধর্ষক মানুষ দেখেছি
আমি এদের সবার চোখেই একটা ভয় দেখেছি
আর সেই ভয়কে আড়াল করে
হিংস্রতার মুখোশ।
গণতন্ত্র
আজ প্রতিদিন না। আজ অন্যদিন। আজ এ বলবে, "খবরদার!" সে বলবে, "তবে রে!"
একজন বলবে, "ওঠো" অন্যজন বলবে, "বসো"। ঘরে থাকলে এ কূলের গোঁসা, বাইরে গেলে সে কূলের! যাই কোথা?
আড়াল
তোমায় বলা কথাগুলোর আড়ালে, আমার না বলা কথাগুলো আছে।
বোঝো তুমি?
সারাদিন দূরে থাকার অভিনয়ে
কাছে থাকতে চাওয়ার কাঙালপনা ধরা পড়ে তোমার চোখে?
তুমি পাশে আসলে আমার বেহায়া মনের তীক্ষ্ণ দৃষ্টিকে ছদ্ম শালীনতায় ঢাকি।
দেখতে পাও?
ছাপ
হাত ছিল ভিজে
দেওয়ালে ছিল কাঁচা রঙ।
ভিজে হাতে লাগল রঙ
কাঁচা রঙে লাগল হাতের ছাপ।
ভিজে হাতে উঠল রঙের দাগ
পাকা রঙে এখনো হাতের ছাপ।
মেয়েটা এখনো সে ভিজে হাতের খোঁজে।
পারি না
আমার ঘুমের আশে পাশে টহল দিচ্ছে
কিছু সশস্ত্র প্রহরী
স্বপ্নগুলোতে কারফিউ জারি।
আমার ভাবনাগুলোর চারপাশে টহল দিচ্ছে কিছু সশস্ত্র প্রহরী
খবরের কাগজে ওদের পায়ের ছাপ।
ভাষার সাথে সত্যের ভুল বোঝাবুঝি-
সত্যগুলো মিয়ানো পাঁপড়ের মত বানাতে চায় ওরা
আমি সেঁক দিয়ে রাখি মননের উত্তাপে
মিয়ানো সত্যে গা গুলায় আমার এখনও।
জল ছিটিয়ে গোলাপ তাজা রাখি না-
অকৃতজ্ঞ
আমায় ধাক্কা দিতে দিতে
ধাক্কা দিতে দিতে
খাদের ধারে নিয়ে আসলে।
আমি ঝাঁপ দিলাম না।
বললে, অকৃতজ্ঞ।
অ্যা-পলিটিক্যাল
আচ্ছা আপনাদের কি কোনো কাণ্ডজ্ঞান নেই! আমি বিজ্ঞানী মহাশয়দের বলছি। দু'দিন ধরেই ভয় দেখিয়ে চলেছেন – কলকাতার নীচ দিয়ে এমন একখানা পাত গেছে নাকি যে, তা একবার নড়েচড়ে বসলেই সব হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়বে। আজ আবার আরেকদল বিজ্ঞানী বলছেন, উঁহু শুধু তা তো নয়!