যে আগুন জ্বালিনি
সে আগুনে পুড়ল ঘরদোর
যে ঝড়কে ডাকিনি
সে ঝড় উড়িয়ে নিল এক উঠান শিউলি
যে কথা বলিনি
সে কথা পাঁচকান হেঁটে এসে বসল বিছানায়
যে স্বপ্ন দেখিনি
সেই স্বপ্ন ঘুমের আকাশে আনল ধূমকেতু
এ সবের পরেও
আমি নিষ্ঠুরের মত পিঁপড়ের গর্তে জল ঢেলেছি
ওদের গোপন দংশনকে উপেক্ষা করে
যে আমি ওদের ডাকিনি
তাদেরই ভাসিয়ে ছেড়েছি

অষ্টমীর অঞ্জলিতে না
ডাণ্ডিয়ার তালে তালে
মহারাষ্ট্রের পথে পথে
 

বহু শতাব্দী পেরিয়ে
অজন্তার গুহার সামনে এসে দাঁড়ালাম
প্রাচীন শতাব্দী আমার কাঁধে হাত রাখল
গুহাগর্ভের মধ্যে অনাবশ্যক চীৎকার
কোলাহল, গুহার শান্তিকে তখন ক্ষত বিক্ষত করছে,  
আধুনিক বর্বর কৌতুহলে
শান্ত বুদ্ধ মূর্তির দিকে চোখ গেল
একটাই কথা প্রতিটা ধূলিকণায়
  - শান্ত হও, জড়তায় না, উপলব্ধিতে।

(ছবিঃ আদিত্য পাল) 

ছায়ার ভিড়ে ভিড়ে সার দিয়ে 
          মিশে কিছু কথা
ওদের ছায়া পড়ে না
রাতের বেলায় পেঁচার ডাকে
যখন সাদাডানা পরীরা দুঃস্বপ্ন দেখে
হাড় হিম করা ঠাণ্ডা হাওয়া
          কবরের গায়ে আঁচড় কাটে
তখন ওই ছায়ারা মুখের ঘোমটা সরিয়ে

উৎসবের পিছনে এককীত্বের একটা খোঁচা থাকে। সব উৎসবের। আমরা যে প্রতিদিন বিচ্ছিন্ন থাকার অভ্যাসগুলো সযত্নে গড়ে তুলি- তার বিরুদ্ধে একটা তো কিছু করা চাই!

অনেক ধূলোবালি এক জায়গায় জড়ো করলে,
নিষ্ঠা নিয়ে।
ভাবলে তার মাথায় হবে 
একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ

হল না

ধূলোবালি মাখা সারা গায়ে
নিজের হাতের আঁকিবুঁকি কাটা আস্তরণ
ভেবেছিলে ওগুলো হবে আলপনা, 
                কল্কা কাটা নকসা

হল না

ভেজা ভেজা মন
শোন বারণ
ভুলে থাক সব কঠিন পণ

ভেজা ভেজা মন
শোন শাসন
মুছে ফেল চোখ, কাট বাঁধন

যেদিনই তোমার জন্মদিন থাকত
আমি বলতাম-
ধুর্, মায়ের আবার জন্মদিন হয় নাকি!
যেমন আকাশের কোনো জন্মদিন নেই
মাটির কোনো জন্মদিন নেই
খুশীর কোনো জন্মদিন নেই
তেমন তোমারও কোনো জন্মদিন নেই।

তুমি হাসতে

দুই বিন্দু জল
এক বিন্দু পদ্ম পাতায়
এক বিন্দু চোখের কোণায়
         করছে ছলছল

(ছবিঃ সুমন দাস)

মন আর শরীর। এ দুটোই অস্তিত্ব। ভাগাভাগি করে নেই, বেশ আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে।

     কিন্তু এই দুটোতেই তো পরিচয় শেষ হয় না আমার। পরিচয় হয় সম্পর্কের সূত্রে। সম্পর্ক মনের সাথে, শরীরের সাথে। শুধু আমার না, আমার চারপাশের সাথেও। শুধু জীবন না, জড়ের সাথেও। বিভিন্ন সম্পর্কের সূত্রে পরতে পরতে গড়ে ওঠে আমার এই পরিচয়।