ভাইফোঁটা
ফেসবুকে জুড়ে আছো যত দিদি বোন
কপালটা পেতে আছি, মন দিয়ে শোন
পড়ুক না পড়ুক কাঁটা যমের দুয়ারে
আমার কপালে তোর আঙুল ছোঁয়ারে
ভাই বল, দাদা বল, যা খুশী তা বল
প্রাণের প্রার্থনা এই, সুখে পথ চল
এসো
সকাল থেকে অনেকবার হাত থেকে এটা ওটা পড়েছে,
(ফেলেছি? না না, কক্ষণো না)
এবার তো এসো!
আমার জন্য না হোক
অন্তত প্রাচীন প্রবাদটাকে সত্যি করতে এসো, থাকুক ওর মান
তবু এসো
মন্থন
এখনো মন্থন চলছে
এখনো বেরোচ্ছে পেঁজা পেঁজা বিষ
এখনো মন্থন চলছে
এখনো অপেক্ষায় আছি অমৃতের
অমৃত আসবে, না হলে-
এত হলাহল রয়ে যাবে নিরুত্তর
তা হয় না
অনুরোধ
পথে নেমেছি
হাতের মুঠোয় নিয়েছি কয়েকটা বীজ
ছড়াতে ছড়াতে যাচ্ছি রাস্তার দু'ধারে
ওরা গাছ হবে - আশা রাখি
যে তুমি আসছ আমার পরে
তোমার জন্য রাখলাম ক'টা গাছ
ওরা ছায়া দেবে তোমায়
মহানিশা
অন্ধকার। মহানিশা। কালীপূজোর রাত। শাস্ত্রর কথা থাক। পুরাণে, তন্ত্রে, বেদে কি লেখে সে কথা থাক। আজ মনকে অন্ধকারের সামনে দাঁড় করানোর কথা।
মাঝরাতে
চাবি
তোমাকে ভুল বোঝার মানুষ প্রচুর পাবে। ঠিক বোঝার মানুষ হাতে গোনা কয়েকজন। দেখো যেন সেই 'ঠিক বোঝা'র মানুষগুলোর মধ্যে প্রথমজন হও তুমি নিজে।
ভাব দরিয়া
যার আগু পিছু ভাবা আছে
তার কি প্রেমে মন মজেছে?
সে তো মহাজনীর কারবারী ভাই
ভাবের ঘরে সিঁদ চালায়
যে জন হিসাব কিতাব ভুলতে পারে
সে ভাবের হাওয়া চিনতে পারে
এক ঠাঁয়েতেই বসে বসে
ভাব দরিয়ায় নাও চালায়
ঝাপসা
উবু হয়ে, লুঙ্গিটাকে গুটিয়ে হাঁটুর কাছে এনে, বসে আছেন। বয়েস ষাটের আশেপাশে হবে। রাস্তার পাশে একটা পাঁচিলের ধারে বসে। খেটে খাওয়া শরীর ছিল এককালে দেখলেই অনুমান হয়। বিকেলবেলার পশ্চিম ঢলা রোদ ওনার ভাঁজ পড়া মুখে।
না চাইতেই
না চাইতেই কি এসে পড়িনি সবার ভীড়ে
হঠাৎ করে?
না চাইতেই কি দু'হাতে পাইনি অনেক কিছু
গভীর করে?