(সে দুইত দুধ তার পোষা গরুর। বিক্রী করে চলত জীবন যাপন। হঠাৎ যৌবন খেল গোত্তা এক খরিদ্দারের বাড়ির জানলায়। দুধের হিসাব হল জলের চেয়েও তরল। খাটাল হল বৃন্দাবন। তারপর? সেই কথাই তো লিখছি)
তোমার বাড়ির দেওয়ালে ভালোবাসার ঘুঁটে দেব
সারা দেওয়াল জুড়ে। এক রত্তি ফাঁক রাখব না, দেখে নিও।
এত ঘুঁটে নিয়ে কি করবে?
পুড়িয়ে আগুন জ্বালিয়ো। রেঁধো ভাত ডাল ওতে করে।
কিম্বা বিকালে গরম চা। তবু তো মনে পড়বে! তাতেই হবে।
কিন্তু দেখো
ঘুঁটে গলিয়ে গোবর বানাতে পারবে কক্ষনো
যেমন আমার বুকের মাঠে
তোমার প্রেমে পাওয়া গরুটা
চরে বেড়ায় দিনরাত,
ওকে ভেড়া বানানো যাবে না কক্ষনো
ওকে খোঁয়াড়ে পাঠানো যাবে না কক্ষনো
ওকে আমার বুক থেকে সরানো যাবে না
কোনোদিনও
তেমন তুমিও।
আমার দুধে জল মিশেছে
মিথ্যা বলব না,
কিন্তু তুমি চাহনির সাথে কি মেশালে?
বিচুলির সাথে জাব মাখা কি পেল আমার প্রেমের গরু
তার হাম্বা ডাকে বাঁশির আওয়াজ,
তার চলাফেরায় বাজে তোমার নূপুর
এসো এসো সখী
হও গোয়ালিনী
তুমি ছাড়া এ হৃদয় যেন গরু ছাড়া খাটাল
ঘি ছাড়া দুধ, ঘাসহীনা মাঠ
এসো এসো এসো