Skip to main content

এক সন্ধ্যা দক্ষিণেশ্বর

দক্ষিণেশ্বরের নাটমন্দির। সন্ধ্যেবেলা। কালীকীর্ত্তন চলছে। গোল হয়ে বসে ভক্তবৃন্দ। কারোর চোখ বন্ধ, কারোর আধবোজা, কারোর খোলা। সংসারের বাইরে মনটাকে এনে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা যেন কোথায়। কত ক্ষোভ, কত জ্বালা, কত অসহায়তা, কত অভিমান - সব ভোলো। গাও মন গাও। 

কেনার কথা মনে থাকে না

বয়স্কা ভদ্রমহিলা রোজ রাতে ফোনটা মাথার কাছে নিয়ে শোন। চার্জারটা হারিয়ে গেছে বহুদিন। কেনার কথা মনে থাকে না।

সত্যের গায়ে জমে না মেদ


যেখানে নাকি অনেক নীতি, উচ্চাদর্শ
            মহাপুরুষের গুষ্ঠিবাস
      তারও নীচে জমছে ক্লেদ

তাদের কাছে যাচ্ছে যারা সরল মনে
            ঠকছে তারা
      এসব দেখে দেখে জমছে খেদ

বালি

দু'হাতের থেকে সময়গুলো বালির মত ঝরে ঝরে পড়ে যাচ্ছে। বালি? না বালি তো তবু দু-এক কণা আটকে থাকে হাতের ভাঁজে। হাওয়ার মত উড়ে উড়ে যাচ্ছে সময়।

নাস্তিক অন্তর্যামী


যত ভয় ভাবনা ব্যর্থতা অক্ষমতা
মনের এ কোণ, সে কোণ থেকে
 সব ঝেঁটিয়ে -
        ঝেঁটিয়ে ঝেঁটিয়ে কেঁদে কঁকিয়ে
এনে ফেলি সিংহাসনে রেখে
সামনে আমার ভগবান,
           ইহকাল পরকাল
   আছেন বরাভয় দিয়ে

রক্তবীজ বিশ্বাস


যে পিঠে ছুরি মারবে বলে
       রোজ রাতে ছুরিতে শাণ দেয়
সে দিনের বেলায় মাঝে মাঝে 
        আমার গালে চুমু খেয়ে যায়

তার পিঠের চোখে রাখি চোখ
    দেখি প্রাগৈতিহাসিক ইতিহাস
কালের প্রবাহে বইছে চোরাস্রোতে
   তবু ভেসে আছে রক্তবীজ বিশ্বাস

কিছু মধু এখনো বুকে আছে


পায়ের তলায় মাটি ছিল না কোনোদিন
মাথা ভরা কল্পনাও ছিল না ভিড় করে

আমার চারদিকে, চারপাশে 
              শুধু ইচ্ছা ছিল কিছু

এখনো আছে

বিষাদ সায়রে


বিষাদ সায়রে এক বুক জলে দাঁড়িয়ে
মাথাটা ডোবালে ডোবাতেও পারি
তবু নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে

সত্য বস্তু


সত্য বস্তু চিত্তে বাঁধা
তারে খুঁজতে গেল জনম আধা
এমন গোলক ধাঁদায় ঘোরায় যে রে
সে জন কোন জনা?

চিত্ত ক্লান্ত মিথ্যা ভেকে
যারে হন্যে হলেম ডেকে ডেকে
সে যে সব ঘরেতেই আছে বসে
হয়ে একজনা

সত্য বলো, সুপথে চলো
লালন সাঁই এ মন্ত্র দিল
সে ধন পাবে যদি মন সামলে চলো
ভাগাও ছয়জনা

বোঝো?

যখন তুমি সবার ‘হাঁ’-এ
     ‘হাঁ’ মিলিয়ে নিরাপদ
তখন তুমি সাদা মুখে 
  আয়নার সামনে যেও না
  ভয় পাবে 
তার চেয়ে রঙ মেখে এসো
নিজের গলার স্বর শুনে চমকে যাও 
                  জানি

Subscribe to