তুমি কোন দিকে দাঁড়িয়ে
তুমি কোন দিকে দাঁড়িয়ে?
আমার ছায়া জিজ্ঞাসা করেছিল আমায়
আজ আমি জিজ্ঞাসা করছি তোমায়
মৃত্যু নিশ্চিত
মৃত্যু নিশ্চিত, জীবন অনিশ্চিত
অনিশ্চিতকেই বুকে জড়ালাম
মৃত্যু খুঁজে নেবে আমায় সময় হলেই
জ্বলন্ত লাভার অদম্য ইচ্ছা-বীজ
বুকে বসালাম
এত অহংকার আমার
জল ভরতে গিয়েছিলাম একা
কাজের জল, স্নানের জল, পানের জল
তুমি আলাদা করোনি
আমি করেছি
যেমন সপ্তর্ষিমণ্ডল নাম দিয়ে
ওদের অন্য তারাদের থেকে আলাদা করেছি
এত অহংকার আমার
সকাল থেকে মেঘলা আকাশ
সকাল থেকে মেঘলা আকাশ
বুকে প্রেমের টহলদারি
মন ছুঁয়েছে ভেজা বাতাস
চাইছে তোমার নজরদারি
যদি পূজা করি মিছা দেবতার
ঘুম ভাঙতে দেখলাম বাইরে রোদ
ঘুম ভাঙতে দেখলাম বাইরে রোদ। পর্দাটা টানলাম। ঘরটা অন্ধকার হল। এবার ঘুমাবো আবার। আমার তৈরী করা রাত্রিতে।
ঘুমোতে ঘুমোতেও মনের মধ্যে বিঁধে থাকল একটা কথা, কাঁটার মত - বাইরে আলো ফুটেছে।
আলগোছে কিছু সময় এসে পড়েছিল
আলগোছে কিছু সময় এসে পড়েছিল
হিসাবি আলমারির চাবি হেরে গেল
ধুলোর পরে ধুলো জমে থাকা আলপনাও
উড়িয়ে নিয়ে গেল দমকা হাওয়া
অথচ আমি ভেবেছিলাম,
আমি তৈরী ছিলাম
উপর তলার কথা
উপর তলার কথা
ভিতরের কথাকে রাখে আড়াল
চুপ করে থাকো খানিক
পাবে সে নীরব কথার নাগাল
তুমি আমার মোহ না
তুমি আমার মোহ না
তুমিই আমার মোহনা
জয় হোক
ভাষার জঙ্গলে বিভ্রান্ত বুদ্ধি
বসল চিরবহমান হৃদি-নদীর তীরে
শ্রান্ত মন শান্ত হল
ভিতরে কে গায়?
সমস্ত প্রাণ উজাড় করে নামল জলে
তখন সান্ধ্যসূর্য সদ্য নেমেছে ঝোঁপের আড়ালে
তিরতির করে কাঁপছে ঝাউপাতার ঝালর