Skip to main content

মৃত্যু নতুন কিছু বলে না

মৃত্যু নতুন কিছু বলে না
সব নতুনকে ঢাকে পুরোনো মোড়কে 
মৃত্যুতে আত্মীয় তো সবাই
সব রাস্তারা অসম্পূর্ণ
          নিত্যঘোর ভাঙে অচেনা চমকে

বইয়ের আলমারি


আমার বইয়ের আলমারিরর সামনে এক ভদ্রলোক দাঁড়ালেন। বাবার বন্ধু। তখন একখানাই বইয়ের আলমারি সম্বল। তার মধ্যে আমার প্রাণ ভোমরারা। 

মর্ম

মর্মে যদি হলি কানা
কালো অক্ষরে কি দেখবি আলো?
দ্বন্দ্ব যুদ্ধ বাধিয়ে মরিস
জগত জোড়া করলি কালো

মর্মে গিয়ে মর্ম জাগা
সে জন মর্মে আছে মিশ খেয়ে
মর্ম ছাড়া ধর্ম কথা
যেন বোবা উঠেছে গান গেয়ে

মহাত্মা না সেলিব্রিটি?


মহাত্মা না সেলিব্রিটি? নাকি দুই-ই? একবার বাণী বসুর একটা সাক্ষাৎকারে উনি বলেছিলেন, লেখালেখির জগতে রবীন্দ্রনাথকে বাদ দিলে, এ দুয়ের সাযুজ্য খুব কমক্ষেত্রেই দেখা যায়। এ প্রসঙ্গ বিতর্কের। কিন্তু যা বলতে চাইছি সেটা তর্কের জন্য না মোটেই। 

আচমকা

    স্মৃতিরা আসা যাওয়া করছে
     উদ্বিগ্ন 
  মুখ চাইছে এর-ওর
    কারোর কারোর ঠোঁটও কাঁপছে 

অসীমকে ভালোবেসে

তুমি অসীমকে ছুঁয়ে ফিরে এসো
    আমি আছি সীমানার আশেপাশে
তোমায় নিয়ে বাঁধব ঘর
     তোমার চোখের সীমায় 
           অসীমকে ভালোবেসে

সে-ই সে

শিশিরে পা পড়লে ঠাণ্ডা অনুভূতিই হয়েছে
বৈশাখে খালি পা তপ্ত বালিতে পড়লে
       গরম-ই অনুভব হয়েছে

তুমি আমি

তুমি দরজা হয়ে ছিলে, 
আমি তোমায় দরজার বাইরে খুঁজেছিলাম

তুমি পথ হয়ে ছিলে
আমি তোমায় পথের প্রান্তে চেয়েছিলাম

তুমি প্রেম হয়ে ছিলে
আমি তোমায় শর্তের বাঁধনে বেঁধেছিলাম

সাক্ষী

এ নিস্তরঙ্গ, নিষ্প্রাণ সমুদ্রে 
  মাথা তুলে ভেসে আছি 
      চেতনার মত কিছু একটা নিয়ে
নাম-সংজ্ঞাতে বাঁধতে চাইছি না নিজেকে

Subscribe to