১
===
মেয়ে তুমি নিরাপদ নও
ঘরে বাইরে দেবালয়ে
কোথাও নিরাপদ নও
শিশু তুমি নিরাপদ নও
তোমার গায়ের চামড়ায়
যে কোনো রঙ আঁকা যায়
নাকের থেকে অক্সিজেন খোলা যায়
যখন তখন
তোমার শেষ চীৎকার চেপে দেওয়া যায়
মোড় ঘোরানো কাজিয়ায়
বিশ্বাস তুমি নিরাপদ নও
তোমার বন্ধ চোখের পাতায় সুড়সুড়ি দিচ্ছে
ওটা গোলাপের পাঁপড়ি নাও হতে পারে
চোখ খুলে দেখো -
তাক করা বন্দুকের নল
২
====
মেয়ে তুমি খাঁচায় এসো
খাঁচার অনেক নাম -
শালীনতা থেকে বোরখা
পুংলিঙ্গের কোনো সম্পর্ক হয় না
বুঝেছ নিশ্চই এতক্ষণে
বশ্য হও, পোষ্য হও
নয় হও ক্ষত-বিক্ষত!
মনে রেখো অবশেষে ধর্ষকই বিজেতা
শাস্তির গর্বে জন্মায় আরেক ধর্ষক
রূপোলী পর্দায় আসে নতুন সাজে
আসলে তো আমরা কেউ ভালো নেই
আতঙ্কে আছি।
ধর্মের আতঙ্ক
লিঙ্গের আতঙ্ক
মসনদের আতঙ্ক
হাতড়িয়ে হাতড়িয়ে খুঁজছি
মনুষ্যত্বের কঠিন বুনোট
(এটা কবিতার মত দেখতে হলেও কাব্য নয়। আসলে ভালো নেই। একটুও ভালো নেই। সেটাই বলতে চাইছি। জোর করে। যতটা জোরে চেঁচালে কাব্যর রসভঙ্গ হয়, তার চেয়েও জোরে চেঁচাতে চাইছি।)