পড়শির নামে তোমার বানান খুঁজছিলাম
অনেকবার ভুল বানান লেখার পর বুঝলাম,
পড়শির নামে তোমার বানান খুঁজছিলাম
সত্য রইল চুপ করে
মোহ বলল, যাব না।
সত্য রইল চুপ করে।
মোহ বলল, এই দেখো আমার ঐশ্বর্য,
বলেই সে ছায়ামূর্তি ধরে প্রাসাদ, ধন-দৌলত বানিয়ে ফেলল কয়েক লহমায়।
সত্য রইল চুপ করে।
মোহ চীৎকার করল।
গান গাইল। নাচল।
বিদ্রুপ করল। শ্লেষোক্তি করল।
সত্য রইল চুপ করে।
হয়ত মেঘ বুঝেও বোঝে না
তুমি আমার সামনে দাঁড়াবার পর বুঝলাম
তুমি এতক্ষণ আমার আশেপাশে ছিলে না
কিন্তু তা তো নয়?
তুমিই, তুমি-ই তো ছিলে
বৃষ্টির ভিজে হাওয়া ঘরেও আসে
হয়ত মেঘ বুঝেও বোঝে না
বৈঠা তোমার হাতে
বৈঠা তোমার হাতে
তা বলে, জোয়ার-ভাঁটা তো নয়!
আসলে তো প্রেমহীনতা
আসলে তো প্রেমহীনতা
প্রেম প্রেম কোথা পাই
প্রেম কোথা পাই
ঘরে - বাইরে আত্মদীনতা
কবি তোমার কল্পনা পরাজিত
আসলে সেদিন বস্ত্র জুগিয়েছিলেন ব্যাসদেব। কৃষ্ণ না। তাও দ্রৌপদীর না, কৃষ্ণের মান রাখতে। নয়ত আজ এত মন্দির, এত মহাপুরুষ, এত নীতি, এত শাস্ত্র, এত বাণী, এত তর্ক-বিতর্কের পরেও এত আতঙ্ক কেন?
কবি তোমার কল্পনা পরাজিত। বাণী থাক। আত্মা তো অমর। সে তো নাকি শুদ্ধ-বুদ্ধ-মুক্ত চিরটাকাল। তবে ওই শুদ্ধ আত্মাগুলোকে পাপী দেহ থেকে মুক্ত করার শীঘ্র প্রয়াস পাক না আদালত! দেরি কেন? আমরা তো সব জেনে গেছি কবি!
মারা গেছে জানেন?
মারা গেছে জানেন?
কে?
নাম দিয়ে কি দরকার
বয়েস? লিঙ্গ?
৬৪, মহিলা
রোগ?
রোগ না। ধর্ষিত প্রতিবাদী যোনিতে চারটে লিঙ্গের সাথে নাকি লোহার রড, ভাঙা বোতল, গাছের গুঁড়ি ঢুকে গিয়েছিল।
ওমা কেন?
কিছু মদ্যপের লীলাখেলায় প্রতিবাদ করেছিল। একা মেয়েমানুষ, তায় আবার প্রতিবাদ! আজব না?
বারবার আসার অজুহাত
বারবার আসার অজুহাত দিতে পারব না
আমার বর্ষা বিনা নিম্নচাপেও আসে
নিজেকে বাঁচান ঈশ্বর
আপনি আমার একটা একটা ভালোবাসার মুখে নুন দিয়েছেন শান্ত মস্তিষ্কে
ঈশ্বর
আপনি আমার প্রতিবেশীর আর আমার বাড়ির মাঝে পাঁচিল তুলেছেন
ঈশ্বর
আপনি জীবাণুর মত সংক্রামিত হয়ে অগুনতি মস্তিষ্কের পুষ্টিরসকে চুষে চুষে খেয়ে চলেছেন
ঈশ্বর