অল্প অল্প সুখ। অল্প অল্প ক্ষোভ। অল্প অল্প সাধ। অল্প অল্প স্বপ্ন। অল্প অল্প রাগ। অল্প অল্প প্রতিশোধস্পৃহা। অল্প অল্প অসহায়তা। অল্প অল্প বিষণ্ণতা। অল্প অল্প মহত্ব।

এরপর একটা অবশ্যম্ভাবী মৃত্যু।

যা বলার ছিল
বললাম না
তুমিও বললে না

কথা শেষ হল

অসম্পূর্ণ কথাগুলো
জালে আটকানো পোকার মত
দপদপ ছটফট করছে 
      বুক মাথা জুড়ে
উড়তে চাইছে, বাঁচতে চাইছে

ভয় পাচ্ছ 
তুমিও
আমিও

কোন ভয়টা বেশি ?
উড়ে এসে ঠোঁটে বসার?
না মৃত হয়ে বুকে চেপে থাকার?

রোগা ছিপছিপে শরীর। প্যান্ট আর জামা অতিব্যবহারের সীমারেখা পেরিয়ে গেছে। বয়েস দেখে মনে হবে সদ্য হয় তো পঞ্চাশ পেরিয়েছে। মুখে শুনলাম, বয়েস তেষট্টি। "আমি এই তেষট্টি বছর এই মাঠে আসছি... এমন সাপ দেখিনি আগে।"

বুবুন ওই জন্যেই তো রাত্রে ফ্রিজ খোলে না। কতবার বাবাকে, মাকে, রান্নার পিসিকে, বন্ধুদের বলতে চেয়েছে, কেউ বিশ্বাস করেনি। ভাবে ফোরে পড়ে, তাই বানিয়ে বানিয়ে মিছিমিছি বলে।

কথা বলা দায় জানো। কথা বললেই সুর খোঁজো, চড়া না নরম। কথা বললেই রঙ খোঁজো, গেরুয়া না সবুজ না লাল। এভাবে কথা বলা যায়?

সবাই কি বিচিত্র বিচ্ছিরি একটা খেলা খেলছে
পাইয়ে দেওয়ার

সবাই অনেক কিছু দিতে চাইছে
রাস্তা, আলো, জল, টাকা, সুখ

এ সব তো চাই আমরা
কিন্তু কেউ ওদেরকে গিয়ে বলুক
আমরা শুধু এইগুলোই চাই না

আমরা চাই যাকে শাসনের ভার দিয়েছি
সে বাধ্য হোক শুধু নিজের বিবেকের কাছে 

আমরা চাই আস্থা রাখতে
শিক্ষা স্বাস্থ্য বিচার ব্যবস্থায় 

সন্ধ্যাবেলায় একটা নৈর্ব্যক্তিক শুষ্কতা ঘিরে থাকে। হাস্পাতালের বাইরে পুকুরটার দিকে তাকিয়ে আমার সারাদিনের হিসাব। পুকুরের জলের রঙ এত বদলে বদলে যায় আগে জানতাম কই?

যখন তোমরা হাততালি দাও

যখন তোমরা বাহবা দাও

তখন তোমরা 
বসুদেবায়কুটুম্বকম

যখন তোমরা নিন্দা করো
যখন তোমরা আঙুল তোলো

তখন তোমরা মেরীর ছানা
      দুষ্টু ভীষণ, বুদ্ধি কম

পকাদা একজন সমাজ সচেতন নাগরিক। সমাজ নিয়ে প্রচুর ভাবনা। মাঝে মাঝে পকাদা বলে, "আমি যা যা ভেবেছি বিশু, লিখলে রবীন্দ্রনাথকেও হার মানাত।"

    আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তা লিখলে না কেন গো?