সৌরভ ভট্টাচার্য
12 August 2017
হঠাৎ জানলাম গুরু নানক কলকাতায় এসেছিলেন। ছিলেন বেশ কিছুদিন। ব্যস্ত বর্ষাস্নাত কলকাতার বুকে একটা শান্ত পূতস্মৃতি সমাহিত স্থানে রইলাম কিছুক্ষণ। একজন পাঞ্জাবী ভদ্রলোক এসে বললেন, উপরে লঙ্গরখানাতে খেয়ে নিন কিছু।
তিনতলায় উঠে দেখলাম বিশাল ঘর। সমাজে যাদের আমরা ভিখারি, গরীব, ইস ম্যাগো টাইপের মানুষ ভাবি, কিন্তু বলি না, তারা পাত পেড়ে খাচ্ছে। কপাল! এদের সাথে বসে খেতে হবে নাকি! না খাব না, খিদে নেই। মানে বাইরে খেয়ে নেব আরকি। কয়েক পা সিঁড়ির দিকে এগিয়ে আবার ফিরে এলাম। এত অহংকার ভালো না মন!
থালা নিয়ে বসলাম। খোপ খোপ ঘরে ডাল পড়ল, ভাত পড়ল, তরকারি পড়ল। রুটি নেবেন?
একটা হাত বাড়িয়ে বললাম, একটা। পরিবেশক বললেন, দুটো হাত পাতুন। রুটি এসে পড়ল হাতে। মাথা নীচু করো মন। আশেপাশে যারা তারা আর তোমার মধ্যে মিলটুকু খোঁজো, এ তত্ত্ব না। এখন ঘোর বাস্তবে দাঁড়িয়ে।
খাওয়ার পর্ব শেষ। থালা ধোও। মাজো। মাজা হল। মনের মধ্যে কি বোঝা হাল্কা প্রশান্তি। "দিনের তাপে ধূলা লাগি, অনেক দাগে হল দাগী...এমনি তপ্ত হয়ে আছে সহ্য করা ভার...আমার এই মলিন অহংকার"..
এখন আবার কলকাতার রাস্তায়। একটা সূতোতে টান। গভীর টান। আশেপাশে মানুষ। শুধুই মানুষ। "এক ওমকার সতনাম অকাল পুরুখ...." একের টানে নানান ঘোরে ঘোরো মন। খোঁজো খোঁজো....চলো, এসো রাস্তায়..