Skip to main content

তখন আমি অনেক ছোটো


       (আজ সুমনের জন্মদিন। এই লেখাটা ওর জন্যেই, আমার ছোটোবেলার একটা টুকরো। এর থেকে বেশি নিজের আর কি দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব তাকে, আমার এই লেখালেখি যাবতীয় কিছুর মূলেই যার প্রেরণা-উৎপাত।)

প্রজাপতি


প্রজাপতি বলল, মধু কই?
ফুল বলল, মধু তো নেই
       আছে সাজ। ঠিক ওই ফুলের মত।

প্রজাপতি বলল, কিন্তু সে ফুলে যে আছে মধু
   তার আছে সে সাধন,
        তুমি তো রিক্ত। শূন্য অনুকরণ।

প্রতিবাদ হোক, বেইমানি না

        একটা দেওয়ালে হাতুড়ি মারল কয়েকজন। তারা ভেবেছিল হাতুড়ির বাড়ি পড়তেই ইটগুলো ফুল হয়ে এসে তাদের পায়ের কাছে পড়বে। কিম্বা ইটগুলো বকের মত আকাশে উড়ে মিলিয়ে যাবে। 
        হল না। ইটগুলো হুড়মুড় করে পড়ল পায়ে। পা ভাঙল। ইটের কুঁচি চোখে এসে পড়ল। চোখের সাদা হল লাল। 

নিভৃত



====
নিভৃত জীবন
         গোপনীয় নয়
                একান্ত ব্যক্তিগত


====
তোমার নিজস্ব হারিয়ে যাওয়ার ঠিকানা আছে

          আমারও আছে

তোমার প্রতিবাদ


তোমার প্রতিবাদ
   ঝোড়ো হাওয়ায় দাবানল লাগিয়ে

আমার প্রতিবাদ
  ঝোড়ো হাওয়ায় ঘরের কোণের 
                    প্রদীপ আগলিয়ে

এখন আমার অষ্টপ্রহর যন্ত্রণা


এখন আমার অষ্টপ্রহর যন্ত্রণা
ডুব সাঁতারে শামুকে কাটা পা

চাতক তৃষ্ণা
     এক পশলা তুমি
ঘুণ লেগেছে সুখের সারা গা

আজ মে'ডে

দুপুরে এখানে পাতপেড়ে খাওয়া হয়। শ্রমিকেরা খায়। শ্রমিক মানে কালো গা, ধুলো জামা, ফসিল চোখ, হাড়ের আত্মশ্লাঘাহীন পরিচয়। যারা বাতাসের মতো পাশাপাশি বাঁচে, অদৃশ্য অস্ত্বিত্বে। কুকুরটা জানে না আজ মে'ডে। কুকুরটার সকাল থেকে খাওয়া জোটেনি আজ। কুকুরটা রবিবারের হিসেব রাখে। কিন্তু আজ কিসের ছুটি?
...

তবু তুমিই


আলোকে গভীরে যেতে বলো
   আরো গভীরে
যেখানে মনের বিস্তীর্ণ আঁকিবুঁকি
বকের পায়ের মত ছাপ ফেলে
   যেখানে হেঁটে গেছে তোমার ব্যক্তিগত ইতিহাস
      শামুকের মত মহাকাল হেঁটেছে তার পিছুপিছু

অদৃশ্য বাড়ি

আমি একটা অদৃশ্য ঘর বানিয়েছি। তার চারদিকে ঘন জঙ্গল। কেউ পথ চিনে আসতে পারে না আমি চিনিয়ে না আনলে। সেই জঙ্গলের বাইরে, বড় রাস্তার ধারে কয়েকটা মিছিমিছি ঘরও বানিয়েছি। যেই কেউ প্রশ্ন করে কোথায় থাকো? আমি ওই মিছিমিছি ঘরগুলোকে দেখিয়ে বলি, এই তো, সোমবার এটায়, মঙ্গলবার ওটায়...
Subscribe to