পূর্ব গগন ভাগে
ঝড় উঠল। আমি নিশ্চিত, যতই ঝড় হোক, ভাঙবে কি অশ্বত্থ? কক্ষনো না, কক্ষনো না।
ঝড় বাড়ল। চারদিক ধুলায় ধুলায় ঢেকে অন্ধকার করে তুলল। গাছটা মাতাল না পাগল হল? সে উদ্দাম ঝড়ের সাথে যেন তাল রাখতে পারছে না আর। আমি বুঝতে পারছি তার শিকড় থেকে আর্তনাদ ভেসে আসছে। গাছের আরো আরো পাখিগুলো ভয়ে, আতঙ্কে দিশাহারা হয়ে উড়ে বেড়াতে লাগল। ঝড়ের হাওয়ার সাথে তাদের ডানা পেরে উঠবে কেন? ঝড়ের শাসনে তারা মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়তে লাগল। গাছের ডালে ছিটকে এসে লাগল তাদের কোমল শরীর।
...
খোলা বারান্দা
কখনও আড়ি, কখনও সখনও ভাব
ভালোবাসা, তোর নোনতা নোনতা স্বাদ
হৃদয় ঘিরেছে বল্মীক কারাগারে
প্রাণের ফেঁসোয় গরলামৃত ফাঁদ
তোমার কণ্ঠস্বরে
তোমার কণ্ঠস্বরে একটা খোলা মাঠ আছে
আমি মাঝখানে দাঁড়িয়ে গভীর শ্বাস নিয়ে বলি, আঃ!
তোমার কণ্ঠস্বরে একটা শীতল দীঘি আছে
আমি চোখেমুখে জল ছিটিয়ে বলি, শান্তি!
তোমার কণ্ঠস্বরে একটা তারাভরা অমাবস্যা আছে
আমি চোখ বন্ধ করে দু'হাত ছড়িয়ে ভাসতে ভাসতে বলি, এলাম।
তোমার কণ্ঠস্বরে বিষণ্ণ দুপুরে
ক্ষুর
গলায় ক্ষুরটা চেপে ধরল। আমি জানতাম, এটাই হবে। এদিক ওদিক দিয়ে কয়েকজন যাচ্ছে। কেউ তাকাচ্ছে না একবারও। তাদের মধ্যে চেনা পরিচিতও যে নেই, তা তো নয়। তবু সবার ভীষণ তাড়া। নিজের চিন্তার কৌটে নিজে মুখ ডুবিয়ে মাথা নীচু করে হনহন করে হেঁটে চলে গেল। অথচ এদের সাথে রাস্তায়, বাড়ির বসার ঘরে, ট্রেনের হাতলে ঝুলতে ঝুলতে কত কথা বলেছি। গল্প করেছি। পিকনিকে গেছি। কিন্তু এদ
ভালোবাসা, বড় গুমোর তোমার
ভালোবাসা, বড় গুমোর তোমার
যখন তখন ঘুঁটি সাজিয়ে ডাকো
"আসো"
ভালোবাসা, বড় গুমোর তোমার
যখন তখন গলা জলে নেমে ডাকো
"আসো"
ভালোবাসা, বড় গুমোর তোমার
হঠাৎ হঠাৎ হারিয়ে গিয়ে বলো
"খোঁজো"
ভালোবাসা, বড় গুমোর তোমার
হঠাৎ কখন ঈশ্বর হয়ে যাও, বলো
"পূজো"
ভালোবাসা, বড় গুমোর তোমার
হিন্দুতভা
বলা হচ্ছে 'হিন্দুতভা'(Hindutva) শব্দটা প্রথম চালু করেছিলেন বিনায়ক সাভারকর ১৯২৩ সালে। যার অর্থ কম বেশি আমরা সবাই জানি, সেই নিয়ে আলোচনা করার জন্য না। আমি ঠেক খেলাম আবার 'গোরা' পড়তে আর বিশেষ করে রবীন্দ্রনাথের দুটো প্রবন্ধে যা একটা ১৮৯১ আর পরেরটা ১৯০১ সালে লেখা হয়েছে। খেয়াল করার মত 'হিঁদুয়ানি' শব্দটার ব্যবহার। দুটো শব্দই একটা আরেকটার উপচ্ছায়া মাড়িয়ে এ
শান্ত হব বলে
সব ক'টা তারাতেই
চন্দ্র, সূর্য-
এমনকি গনগনে চিতার আগুনেও
ঠোঁট ছুঁইয়ে এসেছি
পুড়িয়ে এসেছি
শুধু একবার তোমার ঠোঁটে ঠোঁট ছোঁয়াবো বলে
শান্ত হব বলে
বৃষ্টি ভেজা পালকগুলো শুকিয়ে নেব
তাই
ভাড়ুদত্ত তার্কিক
সামনে একটা জবাগাছ। জবা ফুটে আছে। সেটাই স্বাভাবিক। জবাগাছে জবাই ফুটবে। দার্শনিক মশাই পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। জিজ্ঞাসা করলুম,
- বলুন তো এটা কি ফুল? (উনি জবা চেনেন না তা নয় তবু ঠাট্টার কারণে)
উনি ফুলটার দিকে তাকিয়ে বললেন,
- রজনীগন্ধা তো নয়...
- তবে কি ফুল?
- ডালিয়াও নয়
সকাল হলেই
মালী ভোরের অপেক্ষায় বসে। গতরাতে তার বাগানে ফুটেছে গুচ্ছগুচ্ছ রজনীগন্ধা, বেলি, জুঁই।
বাজারে যাবে সকাল হলেই।
জেলে আছে ভোরের অপেক্ষায়। শেষরাতে ধরা পড়েছে রুই, কাতলা, মৃগেল। প্রচুর প্রচুর।
বাজারে যাবে সকাল হলেই।
শাক তুলে, লাউ তুলে, ডাঁটা তুলে..আরো কত কি তুলে অপেক্ষা করছে চাষী ভোরের সিমফুলের মত আকাশের।
বাজারে যাবে সকাল হলেই।
এরা কেউ জানে না
ঘাড় উঁচু করে
ঘাড় উঁচু করে হেঁটে চললে
ভাবলে মাথাও থাকলো উঁচু
ঘাড় নমনীয় না হলে ভাই
মাথা কি থাকে উঁচু?