Skip to main content

https://www.youtube.com/watch?v=j_9HkGOXNd0&t=32s

এ পরবাসে রবে কে হায়!
কে রবে এ সংশয়ে সন্তাপে শোকে ॥
হেথা কে রাখিবে দুখভয়সঙ্কটে--
তেমন আপন কেহ নাহি এ প্রান্তরে হায় রে ॥

        মাত্র চব্বিশ বছর বয়সে এ গান কেন কবি? আজ থেকে ১৩৩ বছর আগে লেখা। অমিয়া ঠাকুর, আমি আপনাকে দেখিনি আগে, এই কি আপনার ছবি? আপনার কণ্ঠস্বর শুনেছি, 'কাঞ্চনজঙ্ঘায়', এক বিষন্ন বিকালে, এক সংসার সীমান্তে আসা মানুষের অকুল পরিস্থিতিতে। আজ এই মেঘাচ্ছন্ন বিকালে শুনতে শুনতে মনে হল, কবি আপনি এ গান মাত্র চব্বিশটা বর্ষা পেরিয়েই অনুভব করলেন কি করে? নিঃসঙ্গতা মানুষের আদিম অভিশাপ। নিঃসঙ্গতা মানুষের ভবিতব্য। নিঃসঙ্গতা অতৃপ্ত তৃষ্ণার অসঙ্গ আত্মকথন। 
        গানটা শুনতে শুনতে একটাই আক্ষেপ হল, এমন সুর আর শুনি কোথায়? আজ বড় আওয়াজ, আজ গানও পণ্য। সুরের সাধন কই? সুরের মধুর মোহে সব, সুরের যে বেদনাও আছে, সে বেদনাকে এত ভয় কেন আজ? সেই সুরের বেদনাতে যে নিঃসঙ্গতার পরম আত্মসমর্পণ। সে কই আজ? আমিয়াদেবী, আপনি আপনার একটা গানেই এত উচ্চ-নিনাদিত সুরের বাজারের শেষ লগ্নে শ্রোতাকে তৃপ্ত করুন, মোহে না, শুদ্ধতায়।