ধুলো উড়িয়ে
ধুলো উড়িয়ে, মাটি কাঁপিয়ে তো গেলে
তোমার ক্ষমতা আছে মানলাম
কিন্তু ধুলো না উড়িয়ে, মাটি না কাঁপিয়ে
গন্তব্যে পৌঁছাতে পারতে কি?
জানা হল না
বাজার
আমার মতো দেখতে কেউ একজন
বাজারের ব্যাগ নিয়ে বাইরে গেল
খানিক পরে বাজারের ব্যাগ নিয়ে ফিরে এল
সে অন্য কেউ
ব্যাগ খুলে দেখলাম
বাজারে নানা সামগ্রীর সাথে রক্ত মাখা একটা পোশাক
তোমার শহরেও ভোর হল
ঝড়ে সব ক'টা রজনীগন্ধা ক্ষেতে শুয়ে পড়ল
এমনই প্রচণ্ড ঝড় হল
পরেরদিন, যেই না সুয্যি উঠে ফুটফুটে সকাল হল
তারা সব্বাই ধুলো-জল ঝেড়ে
হুররে করে, সোজা হয়ে উঠে দাঁড়ালো
গবেষণা
কোন চিকিৎসকের কাছে না গেছে লোকটা? কেউ সুরাহা দিতে পারেনি। বিদেশেও গেছে, কেউ কেউ বলে। নিন্দুকেরা বলে, উঁ! বিদেশ গেছে না ছাই... সুন্দরবনে গিয়ে সেঁধিয়ে ছিল। সে যাই হোক, লোকটা চেষ্টার অন্ত রাখেনি। তার একটাই সমস্যা – কেন কুড়িটা নখ আর তেত্রিশ হাজার উনপঞ্চাশটা মাথার চুল বেড়ে বেড়ে যাবে প্রতিদিন, প্রতিমাস, প্রতিবছর। সব চিকিৎসকের একটাই কথা – এটাই প্রকৃতির নিয়ম। তারও একটাই কথা – নিয়ম বলেই মানতে হবে?
দড়ি
সংখ্যায় বিশ্বাসীরা, সংখ্যা বাড়াতে বাড়াতে কোথাও একটা ঠেকলেই বিরক্ত হয়। তখন গোনায় মানুষ বাধা হয়ে এসে পড়লেও সরিয়ে দিতে হয়। সংখ্যায় বিশ্বাসীরা পাগলের মত গুনে চলে, ১.. ১০০.. ১০০০০... ১০০০০০০। সামনে কাউকে সহ্য করতে পারে না। নিজের ছায়াকেও নয়। একটা গল্প বলি।
দূরে কোথাও - এপ্রিল-জুন সংখ্যা
গভীর রাত
এক আকাশ তারা কখনো প্রজাপতির মতো কখনো জোনাকির মতো উড়ে উড়ে আকাশে অক্ষর সৃষ্টি করছিল।
...
ঘাসেরা বড্ড কাঁদে
স্বপ্নের বুনট ছিঁড়ে পড়ল
শিশিরে পা মাড়িয়ে, পা ভিজিয়ে এলো -
সে
বলল,
ঘাসেরা বড্ড কাঁদে
ঈর্ষা
প্রথমঃ
বাঙালির মা
বাঙালির মা কে? কালী-দূর্গা-সরস্বতী-লক্ষ্মী। তারপর মাঝে হয়েছিল – দেশ – বন্দে মাতরম। এখন? জানে না যেন, নেকু!