Skip to main content
 
 
        সেই দমকা হাওয়াটা কই? সেই দমকা হাওয়াকে চাই। তার নিজের কিছু নেই - না ভার, না দায়, না শোক, না ক্ষোভ। সে আসবে, বিনা আমন্ত্রণেই আসবে। সিংহদুয়ার খোলা না পেলে ঢুকবে খিড়কীর দরজা দিয়ে। ঘরের গুমোট হাওয়াকে বলবে, চল। দরজা জানলাগুলো কাঁপতে কাঁপতে খুলে যাবে, খুলতে না চাইলে ভেঙে যাবে। আমি হঠাৎ দেখব ভাঙা জানলার বাইরে সমুদ্র। যার গর্জন আমি আগে শুনেছি - ঘুমে। ভাঙা পাল্লাটা থরথর করে কাঁপছে ভয়ে, আত্মগ্লানিতে। আমার চোখ-মুখ নোনতা হাওয়ায় চটচটে হয়ে উঠছে। আমি দরজাটায় হাত দিতেই দরজাটা বালির মত ঝুরঝুর করে পড়ে গেল, যেন কত বাধ্য সে আজ আমার। 
        আমি বালিতে পা ডুবিয়ে ডুবিয়ে জলের দিকে যাচ্ছি। ঢেউগুলো আমায় দেখে আরো উত্তাল হয়ে উঠছে। ওরা চিনতে পেরেছে আমায় - তাদের কোন জন্মের খেলার সাথী - আমি। আমি দমকা হাওয়াটাকে দেখতে পাচ্ছি - ওই শূন্যে, মহাকাশে, তারাগুলোকে ঘিরে ঘিরে ছোঁয়াছুঁয়ি খেলছে, আচমকা দৌড়ে এসে কোনো ক্লান্ত পাখির ডানাকে ধরছে কঠিন হাতে। কান পেতে শোনার চেষ্টা করছে - কার ঘরে জমেছে গুমোট হাওয়া।