ছোটোবেলায় মনে হত প্লেনটার সাথে বুঝি তারাগুলোর ধাক্কা লাগবে এক্ষুণি
ছোটোবেলায় মনে হত প্লেনটার সাথে বুঝি তারাগুলোর ধাক্কা লাগবে এক্ষুণি। তারাগুলো ভেঙে পড়বে ঝুরঝুর করে। প্লেনটা মুখ ঘুরিয়ে চলে যাবে অন্যদিকে।
বাস্তবে তা হয় না তো! সব প্লেন ওড়া শেষ হয়ে যায়, তারাগুলোও অক্ষতই থেকে যায়।
ছায়া
বারবার একটা ছায়া মুখের ওপর এসে পড়ছে
বারবার সরিয়ে দিতে চাইছি
হাতের তালুতে পাঁচ আঙুলে চেপে ধরে
ছুঁড়ে দিতে চাইছি আস্তাকুঁড়ে
বারবার ছায়াটা ফিরে ফিরে এসে মুখের ওপর পড়ছে
ছায়ার সাথে কথা বলি না
অ-সামাজিক
(সেই সব তথাকথিত প্রান্তিক মানুষদের জন্য, যাদের কথা শুনলে মনে হয়েছে কত সমান্তরাল জগতের পাশাপাশি হেঁটে চলেছি)
তর্পণ
...
শিবনারায়ণ রায়
...
মজলিশ
আজও মজলিশে একটা তাকিয়াও খালি যায়নি
আজও হাসির ফোয়ারা উঠেছিল নিঃসঙ্গ দেওয়ালের
আত্মমগ্নতাকে ক্ষুব্ধ করে
ভিক্ষুণী
প্রচণ্ড দাবদাহ
তাপ প্রবাহ চলছে আবহাওয়া দপ্তরের পরিভাষা অনুযায়ী
দুপুর দুটো। জনশূন্য রাস্তা।
ঘরের কাছে কান পাতলে টিভির আর পাখার আওয়াজ
'ন্যূনতম' থিওরি
শুনেছি, একজন লোকের নীচের রক্তচাপ (ডায়াস্টোলিক) কত সেটাই নাকি আসল কথা। সেটা বেশি হলেই নাকি দুশ্চিন্তা বেশি। অর্থাৎ হৃদিযন্ত্রখানা না চাপলে কত চাপ, সেই হল গিয়ে আমার চাপ।
বিকল্প
গুঞ্জন চলছে, এটা কি করে হতে পারে?
বিকাশের চায়ের দোকান। চালু দোকান।
অফিস পাড়ায় সকালের ভিড়।
পাশে ফাস্টফুডের দোকান – রেহমতের,
উত্তরপ্রদেশে বউ, দুই ছেলে, তিন মেয়ে
ছোটোছেলেটা এখানে এখন, ছুটিতে এসেছে
দোকানটা খোলে বেলায়
একদিন
সব জানাশোনারা
পাঁচিলের মত দাঁড়িয়ে
আগাম জানাশোনারা
গুহাপথের মত সামনে
একদিন এই জানাশোনার বাইরে যার পা পড়বে
সে আমি না
জানাশোনার বাইরে কেউ