Skip to main content

গুরু নানক কলকাতায় এসেছিলেন

হঠাৎ জানলাম গুরু নানক কলকাতায় এসেছিলেন। ছিলেন বেশ কিছুদিন। ব্যস্ত বর্ষাস্নাত কলকাতার বুকে একটা শান্ত পূতস্মৃতি সমাহিত স্থানে রইলাম কিছুক্ষণ। একজন পাঞ্জাবী ভদ্রলোক এসে বললেন, উপরে লঙ্গরখানাতে খেয়ে নিন কিছু।

যুগাবতার

পদা আজন্ম শুনিয়া আসিতেছে একটি তৃণও ঈশ্বরের ইচ্ছা ছাড়া নড়ে না। একটি পিপীলিকার চরণে বাঁধা নূপুরের ধ্বনিও ঈশ্বর শুনেন।
        পদা যত বড় হইতে লাগিল তত বিস্মিত হইতে লাগিল। এত নৃশংসতা, এত অমানবিকতা, এত বুভুক্ষা কেন তবে?

দুটো কোর্ট

একটা দাগ

দুটো দাগ

নীল দাগ

typing....

   দুটো কোর্ট।
       ঠকাস। ঠকাস।

   উদ্বিগ্ন চোখ, স্ক্রিণের কোনায়।
      ফুরিয়ে আসা ব্যাটারির লাল নিশান।

typing....

দুঃখ মানে কি?

দুঃখ মানে কি?
   দুঃখ মানে ভালোবাসা

মৃত্যু মানে কি?
     শ্মশান অবধি কাঁধে নিয়ে
           বুকে করে ফিরে আসা

দুঃখ মানে কি?
    দুঃখ মানে ভালোবাসা

পুনরাবৃত্তি না সংশয়?

তবে কি আমি প্রতিষ্ঠান বিরোধী? কিন্তু তা তো মোটেও নয়। জন্মালাম একটা হাসপাতালে, পড়াশোনা করলাম স্কুল-কলেজে, টাকা রাখতে ব্যাঙ্কে গেলাম, চিঠি পোস্ট করতে পোস্ট-অফিসে... এ সবই তো প্রতিষ্ঠান। সমাজের পক্ষে অপরিহার্য। এছাড়াও বিধানসভা লোকসভা থেকে শুরু করে আরো নানান প্রতিষ্ঠানের সাথে জীবনযাত্রা তো প্রতিপদে জড়িয়ে। তবে? ক'দিন ধরে একটাই কথা মাথায় ঘুরছে, তবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অর্থ কি, প্রয়োজন কি?

কে সে?

কোনোদিন শুনিনি কেউ অক্ষরেখা দ্রাঘিমারেখা চাপা পড়ে মারা গেছে। কিম্বা এক দেশ থেকে আরেক দেশে যেতে আকাশের সীমারেখা পেরোতে গিয়ে কোনো উড়োজাহাজ সীমারেখা জড়িয়ে ভেঙে পড়েছে। ওসব মাথার মধ্যেই থাকে। ভূতই বলো আর ভগবানই বলো।

জানতাম তিনি বেড়াতে গেছেন

আমি তো জানতাম তিনি বেড়াতে গেছেন। ফিরে আসবেন কয়েক দিন কি মাসের মধ্যেই। ও বাবা! এ তো দেখতে দেখতে বছর ঘুরল। তাঁর তো দেখাই নেই। কেউ বলে, উনি নাকি জলে ডুবেছেন, কোন সমুদ্দুরে তা তিনি-ই জানবেন। কেউ বলে নাকি জঙ্গলে পথ হারিয়েছেন, কেউ বলে জঙ্গলে না তো, মরুভূমিতে! কেউ বলে হিমালয়ের ওদিকে নাকি কি কলোনি আছে, ওখানে ঘর ভাড়া নিয়েছেন। তা শুনে নিন্দুকের দল বলে, "কই?

ঘটনাটা মর্মান্তিক

ঘটনাটা মর্মান্তিক। তবে এককালে মঠে যাতায়াত আমিও বেশ কিছু বছর করেছি বলে এ দৃশ্য অদেখা নয়। একজন বয়স্ক ভদ্রলোক যিনি বয়সের ভারে প্রায় অথর্ব, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এক একটা ধাপ উঠছেন ঠাকুরের প্রণামী দেবেন বলে, আরেকজন স্থূলকায় যুবক সন্ন্যাসী বসে আছেন চেয়ারে, দেখছেন, তবু উঠবেন না। কারণ "ওরকম নিয়ম নেই"।

বদল

ঠিক কি কারণে যেন এসেছিলাম
                মনে করতে পারছি না
চেনা গলিগুলোর চোখে ভ্রুকুটি
   নাম মনে করতে পারছে না আমার!
মুক্তি? কার মুক্তি?
      স্মৃতির গারদে আটকে
জামিন নেই, জামিন হয় না
  কয়েক লক্ষ কয়েদি সরিয়ে

হ্যাপি ফ্রেনিমিশেপ ডে

বারবার নিজের রক্ত-মাংসের টুকরোর পসার সাজিয়ে বাজারে বসা। বন্ধুত্ব কেনার জন্য। দেখতে হবে - মাংস যেন পচে না যায়, রক্তের রং যেন ফিকে না হয়!

Subscribe to