Skip to main content

সম্পর্ক

সম্পর্ক অবিনশ্বর
   মোড় ফিরিয়ে রূপ বদল
           এখন তখন
তবু শূন্য হয়ে যেতে দেখিনি
             হয়ও না

জেলিফিশ

আমরা যখন প্রকাশ্য রাস্তায় নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ধর্ষণ ব্যাপারটা মেনেই নিয়েছি, তখন আসুন না, আমাদের সংবিধানে ধর্ষণটাকে বৈধ ঘোষণা করে দিই। অকারণ তবে এই খবরগুলো আর পড়তে হয় না, জ্বলতে হয় না। রাস্তায় যেখানে সেখানে প্যান্টখুলে হিসি করার মত ব্যাপারটাকে ইজি করে নিই।

পুরুষতান্ত্রিক সমাজ?

  1. যতদিন পড়াশোনা করেছেন, কটা পাঠ্য বই মহিলা লেখকের পেয়েছেন?
  2. যতজন বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, দার্শনিক ইত্যাদি আজ অবধি সারা বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছেন পুরোধা হিসেবে তার কত শতাংশ মহিলা?
  3. ঈশ্বরের অবতারেরা শুধু পুরুষই হন কেন?
  4. শুধু মাত্র অভিনয় আর কিছুটা গানে নৃত্যে মহিলা শিল্পীর নাম বলতে পারা যায় এক নিঃশ্বাসে অনেকগুলো, বাকি ক্ষেত্রে এমনকি যে অভিনয়ের উল্লেখ হলেও, সেই মহলে পরিচা

অতলবাবু

ধরি মানুষটার নাম 'অতল'। মানুষটা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে - সবটাই অভিনয়। ঘুম থেকে উঠে চায়ের দোকানে উনুনে আঁচ দেয় যে বাঁ হাতভাঙা বেঁটেখাটো লোকটা- সে থেকে শুরু করে, মাঝরাত্তিরে বাসটা গ্যারেজে রেখে ঝিমোতে ঝিমোতে ফেরা ড্রাইভার অবধি - সবাই অভিনয় করছে। বড়লোকদের আরো সুক্ষ্ম অভিনয়, লড়াই করে বাঁচা মানুষদের স্থুল। ছিরিছাঁদহীন।

বীমাবিপত্তি

আজ বলে না। নরহরিবাবুর দীর্ঘদিনের ইচ্ছা মা কালীর নামে একটা জীবনবিমা করেন। ডেট অব বার্থ নিয়ে একটু সমস্যা আছে, কিন্তু নরহরিবাবুর শালা সুড়ঙ্গ সিকদার সে ব্যবস্থাও করে ফেলেছেন। সুড়ঙ্গবাবু পেপারমিলে কাজ করেন। সাইডে হাত দেখার ব্যবসা থুড়ি সাধনা। খোদ কামাখ্যায় গিয়ে রপ্ত করেছেন, সুড়সুড়িবাবার কাছে। তিনিই তার বলাইচাঁদ নামটা এপিঠ-ওপিঠ করিয়ে সুড়ঙ্গ সিকদার করেছেন।

মা

মা

সম্পর্ক

অস্তিত্ব শুধু না

তুমি সংশয়ী

অন্ধকারে হাতড়ে বেড়িয়ো না

অস্তিত্ব জাগে নাড়ির টানে

অন্ধকারেই ডেকে দেখো

সে আলো আসে কি আসে না

maa

শুভ দীপাবলি

সাজানো কথা আর মিথ্যা কথা এক না। প্রথমটায় খানিক শিল্পীসত্তার দরকার হয়, দ্বিতীয়টায় সে দরকার নেই।
   যেমন সত্যভাষণে আর কটুভাষণে। প্রথমটায় বিবেচনাবোধ জরুরী। দ্বিতীয়টায় নয়।

ছবি

ঘনশ্যাম আর সুনয়না ঘরের মধ্যে ঢুকলেন। ঘুটঘুটে অন্ধকার চারদিক। আজ ভূতচতুর্দশী। কেউ চোদ্দ প্রদীপ জ্বালার নেই। সবাই বেড়াতে গেছে। ঘনশ্যাম খাটে বসলেন। সুনয়না নিজেদের ছবিটা খুঁজলেন এ দেওয়াল, সে দেওয়াল। নেই। অবশেষে বাথরুমের পাশের জুতোর র‍্যাকের নীচ থেকে ভাঙা ছবিটা বার করলেন। কত পুরোনো ছবি।

ভেস্টিবিউল

করোমণ্ডল এক্সপ্রেস
ট্রেনটা প্রচণ্ড বেগে ভারতের দক্ষিণাভিমুখে ছুটছে।
সত্তর পেরোনো মানুষটা
    হাতে একটা ফ্লাক্স নিয়ে প্যান্ট্রিকারের দিকে এগোচ্ছেন
    S6 থেকে ছ'টা বগি পেরোলে প্যান্ট্রিকার,
মানুষটা অশক্ত শরীরে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে

Subscribe to