চারপাশ
আমার একজন শিক্ষক ছিলেন। ভীষণ বামপন্থী। এমনই বাম যে হৃৎপিণ্ডের মাধ্যমে রক্তসঞ্চালন বোঝাতে গিয়ে বলেছিলেন, বাম অলিন্দ নিলয় দিয়ে শুদ্ধ রক্ত যায়, কারণ বামেরা সব সময় শুদ্ধ।
তোমার গন্ধেই তো
বন্ধ দরজা খুলতেই
সারা ঘর জুড়ে তুমি
তোমার গায়ের গন্ধ
তুমি এসেছিলে
এ কথাটা শুধু
আমার বুকেই বিঁধে ছিল না তবে
ভুলে গিয়েছিলাম,
তোমার গন্ধেই তো
আমায় ঘিরে বসন্ত
বিয়ে দিয়ে দিন
আবর্জনা
যে মেয়েটা মার খেয়ে এলো
কে সে?
মেয়ে নয় গো মেয়ে নয়
হিজড়ে হিজড়ে হিজড়ে
মা কাঁদে কেন মেয়ে মেয়ে বলে?
বা রে বা, লজ্জা নেই?
সমাজ নেই? ধর্ম নেই?
তাই মা কাঁদে মেয়ে বলে
লোককে ওসব বলতে নেই
বলতে নেই, বলতে নেই
পালিয়ে ছিল?
আর না তো কি?
কোথায় কোথায়?
খেলছে সাদাকালো
তোমার মনে হতেই পারে
মানুষ বড় স্বার্থপর
সে তো চিরকালই বলো
অতশত না ভেবে ভাই
নিজের মনে চলো
তোমার মনে হতেই পারে
মানুষ বড় অবুঝ
সে তো চিরকালই বলো
অতশত না ভেবে ভাই
নিজেই বুঝে চলো
একটা মরুভূমি দাও
আমায় শুধু একটা বিস্তীর্ণ মরুভূমি দাও
যেখানে কোনো ফুলের যত্ন নিতে হয় না
যেখানে কোনো নদীর জোয়ারভাটার হিসাব রাখতে হয় না
যেখানে হঠাৎ হারিয়ে যাই যদি
কোনো নাম ঠিকানা লেখা কাগজ
হাওয়ায় উড়ে বেড়ায় না
তাড়াতাড়ি এসো
- এদিকটায় সরে এসে বসো
- কত নাম্বারে নাম?
কামড়
রাস্তায় জল জমেছে। এতটা জল যে সাইকেলের অর্ধেক টায়ার জলের নীচে চলে যাচ্ছে।
অনুপের নতুন সাইকেল। চেনটা শক্ত। টান লাগছে। কিন্তু ভালো লাগছে। সব মিলিয়ে ভালো লাগাটাকে ভয়ও লাগছে। একটু পরেই সন্ধ্যে। বিদিশা কই তখন?
নাম অপরাধ
যে নামের মাহাত্ম্য
প্রাচীন ঋষিচিত্ত উপলব্ধিগামী
আত্মার মুক্তিহেতু জপিবারে
আছিল বিধান
শুশ্রূষার আশায়
মাত্র কদিনের পরিচয়
মাত্র এই কদিনেই তোমায় ভালোবেসে ফেললাম
বন্যায় গাছপালা বাড়িঘর
ভেসে যেতে দেখেছি টিভিতে
এইবার নিজেকে ভেসে যেতে দেখলাম
হৃদয়ে
সারাক্ষণ কেমন যেন
মন খারাপ খারাপ লাগা
যেন গ্রীষ্মের দুপুরে বন্ধ পাখার দিকে তাকিয়ে